রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের আজগার আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাতাসহ পাঁচজনের নাম উলে­খ করে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে নিহত আজগার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অবিযোগে তিনজনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার বরেয়া গ্রামের আলাউদ্দিন, তার বাবা মুজিবর রহমান ও একই গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে আবুজার হোসেন (২৬)।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের আজগার আলীর ছোট মেয়ে শিল্পী খাতুনের সঙ্গে কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরেয়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সালাহউদ্দিনের দু’ বছর আগে বিয়ে হয়। সালাহউদ্দিন বেকার হওয়ায় বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস হয়েছে। এরপরও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় ১০ দিন আগে শিল্পীকে বাড়িতে নিয়ে এসে তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সালাহউদ্দিন তার বন্ধু আবুজারকে নিয়ে মোটর সাইকেলে এসে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা শ্বশুর আজগার আলীকে রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। বুধবার ভোরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মারা যায় আজগার। সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে আজগারের লাশ দাফন করা হয়।

নিহত আজগার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্ব্শুরকে হত্যার পর সালাহউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আগে থেকে ভিসা প্রস্তুত করে রেখেছে। যে কোন সময়ে সে ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালাতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ ওবায়দুল­াহ জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ঘাতক সালাউদ্দিন, তার বাবা মুজিবর রহমান, মা আলেয়া বেগম, ভাই আলাউদ্দিন ও সালাহউদ্দিনের বন্ধু আবুজার এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন। রাতে মামলা রকর্ড করা হবে। আটককৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(আরকে/এএস/জুন ২২, ২০২২)