রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

জানা গেছে, জহরত আরা চৌধুরীর (ময়না) ১৯৭৯ সালে হাঁসবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৯৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। পরবর্তীতে তিনি বিএসএস পাশ করেন। এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৬২ সালে। এতে এই শিক্ষিকার বয়স দাঁড়ায় ৫৯ বছর। সেই মোতাবেক তার চাকরির বয়স অদ্যবধি ২৫ বছর। অথচ চাকরিতে যোগদানকালে জন্ম সাল দেওয়া হয়েছে ১৯৭৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। এসএসসি সার্টিফিকেট হিসাবে এই প্রধান শিক্ষিকার বয়স ৪৩ বছর। ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করলে তিনি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ২০২২ সালেই। কিন্তু চাকরিতে যোগদানের জন্ম সাল অনুযায়ী এখনো তার চাকরির বয়স রয়েছে প্রায় ১৭ বছর।

এদিকে, প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরীর বড় ছেলে আবু আল মামুনের পরীক্ষার সনদ ও ভোটার তালিকা অনুযায়ী জন্ম সাল রয়েছে ১৯৮৪ ইং। এতে জহরত আরা’র জন্মসাল ১৯৭৯ হলে ছেলের বয়স হয় ৩৮ বছর ও মাতার বয়স ৪৩। ফলে মা-ছেলের বয়সের পার্থক্য দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর। অভিযোগ উঠেছে জহরত আরা চৌধুরী বয়স জালিয়াতি করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন। বয়স জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান করায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহারুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরী বলেন, সেই সময় কোথায় কি বয়স দেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই। এরপরও কোথাও জবাবদিহিতা করতে হলে করব। এর বেশি কিছু বলতে পারবনা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তপূর্বক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আর/এসপি/জুন ২৩, ২০২২)