বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা থানা ভবনে পুলিশ কর্মকর্তা রুম থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা তক্ষকটি বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে। 

মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, থানা ভবনের ৫ম তলায় বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ইন্সপেক্টর সুজিত তার রুমের মধ্যে আসবাবপত্র ও কাগজপত্র নড়াচড়ার শব্দ পান। এরপর তিনি বিছানা থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে রুমের মধ্যে একটি তক্ষক দেখে ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যান। তখন তিনি থানা ভবনের অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি জানালে তারা এসে কৌশলে তক্ষকটি আটকে একটি বস্তায় ভরে রাখেন।

বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হককে জানানো হলে তিনি তক্ষকটি সুন্দরবন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী তক্ষকটি দুপরে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরের কাছে হস্তন্তর করা হয়। উদ্ধার হওয়া তক্ষকটি বন কর্মকর্তা আজাদ কবির পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে বিকেলেই করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে এলাকায় অবমুক্ত করেন।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, থানা ভবনের পুলিশ কর্মকর্তার রুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ বছর বয়সী তক্ষকটি লম্বায় ৭ ইঞ্চি, ওজন ৬০ গ্রাম। গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতির তক্ষক এটি। এর পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর হয়ে থাকে। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলো পাশাপাশি ৭ থেকে ৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কম বয়সী এই তক্ষকটির লেজে পরপর গাঢ়-নীল ও সাদা রঙের বলয় রয়েছে। শরীরের অপেক্ষায় মাথাটি বড়।

(এসএকে/এসপি/জুন ২৩, ২০২২)