রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : বন্যায় খাদ্য সংকটে পড়ে এপর্যন্ত ২৫টি ঘোড়া মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চরাঞ্চলের মালামাল পরিবহণ ব্যহত হচ্ছে। রৌমারী উপজেলার পাখীউড়া, শিবেরডাঙ্গী, ধনতোলা, কোদালকাটি, চর লাঠিয়ালডাঙ্গা, ফুলুয়ার চরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে মালামাল পরিবহনের জন্য ঘোড়ার বিকল্প নেই। পাখিউড়া গ্রামের ঘোড়া মালিক রফিক মিয়া জানান, ঘোড়া কেনা অনেকের হবি হলেও গাড়ি টানার জন্য অনেক কাজে লাগে। কাজের পাশাপাশি প্রতিবছর বৈশাখি মেলায় ঘোড়া খেলায় ঘোড়া লাগে। তাছাড়া একটি বয়স্ক মাদি ঘোড়া প্রতি দু’বছর পরপর বাচ্চা দেয়।

আর প্রতিটি ঘোড়ার এখনকার বাজার মূল্য ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, ঘাস খাওয়ার পর পেট ফুলে ৭ থেকে ৮ ঘন্টার মধ্যে ঘোড়া মারা যাচ্ছে। চিকিৎসার সময় পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ঘোড়াগুলো মারা যাওয়ার কারণে চরাঞ্চলের মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিক কি কারণে ঘোড়া মারা যাচ্ছে তা জানেন না ঘোড়ার মালিক।

এ ব্যাপারে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল বারেক জানান, বন্যার পরপর কাঁদাযুক্ত ঘাস না খাওয়ানোর জন্য আমরা পরামর্শ দেই। এতে ফুড পয়জনিং হয়ে ঘোড়াসহ গবাদি পশু মারা যেতে পারে। তবে ঘোড়া মারা যাওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ফলে আমি জানিনা কি কারণে ঘোড়াগুলো মারা যাচ্ছে।

(আরআইএস/এএস/অক্টোবর ০২, ২০১৪)