ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ্ সুন্দর জীবন গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে নীলফামারীতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধপাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে মাদকবিরোধী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আজ রবিবার সকাল ১০ টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে, নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরন করা হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মির্জা মুরাদ হাসান বেগ সভাপতিত্ব করেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধপাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ মিয়ারাজ উদ্দিন, নীলফামারী ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি ডা: মুজিবুল হাসান চৌধুরী (শাহিন), দ্বীপ্তমান মানবউন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল মোমিন।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বেই কমবেশি মাদকের অপব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। কোনো দেশে মাদকাসক্তদের সংখ্যা ও মাদকের অপব্যবহার বেড়ে গেলে সে দেশের নিরাপত্তা, সুশাসন, অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। মাদকের অপব্যবহার ও পাচাররোধে সম্মিলিত উদ্যোগ খুবই জরুরি। বর্তমানে যুবসমাজ ট্র্যাডিশনাল ড্রাগস গ্রহণের পরিবর্তে সিনথেটিক ড্রাগসের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, যা শরীরের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাকে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচাররোধে আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। মাদক নির্মূল করার জন্য আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাদকের চাহিদা অচিরেই অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

(ওএস/এসপি/জুন ২৬, ২০২২)