রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : নিজেদের থাকার ঘরের পাশেই ছোট্ট একটা গোয়াল ঘর। এখানেই থাকে ১৫ মণ ওজনের গরু ‘পালোয়ান’। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে নিজ সন্তানের মতো পালোয়ান’কে লালন পালন করেছেন চাল- ডাল ব্যবসায়ী লাবলু মিয়া। আসন্ন কোরবানীতে পলাশবাড়ীর এই পালোয়ানকে বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। বিশালাকার এই পালোয়ানকে দেখতে ভীড় করছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুরপুর গ্রামে ‘পালোয়ান’ নামে একটি গরু প্রস্তুত করেছেন আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে চাল-ডাল ব্যবসায়ী লাবলু মিয়া। কালো রঙের গরুটিকে আড়াই বছর ধরে সন্তানের মতো লালন পালন করে আসছেন লাবলু মিয়া ও তার স্ত্রী। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে লাবলু মিয়ার গীড় জাতের এই গরুটি উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়ে পুরুস্কার অর্জন করে। সে সময় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামও বলেন কয়েকজন ক্রেতা। এবার ঈদে গরুটি ৫ লাখ টাকা বিক্রির টার্গেট করেছেন তিনি।

লাবলু মিয়া জানান, গত আড়াই বছর ধরে দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুষি, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানো হয় পালোয়ানকে। এ ছাড়াও প্রতিদিন কমলা ও আপেল খাওয়ায় পালোয়ানকে। ন্যায্য দাম হলেই আমি গরুটি বিক্রি করবো। গরুটি একটু ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে আমার সংসারের কিছুটা পরিবর্তন আসবে আশা করি।সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি ব্যবসাটাও একটু বড় করতে চাই। ।

তিনি মোবাইল নম্বর দিয়ে, ‘পালোয়ান’কে যদি কেউ কিনতে চান, তাহলে ০১৭৪০৯৭৬৭৪৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্তকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, আমরা তার গরুটি নিয়মিত দেখাশোনা করেছি।লাবলু মিয়া অনেক বেশি যত্ন নিয়ে গরুটি লালন পালন করেছে। এই কোরবানী ঈদে গরুটি বিক্রি করবে সে। যদি ন্যায্য দাম পায় তাহলে অনেক উপকার হবে লাবলু মিয়ার।

(আর/এসপি/জুন ২৬, ২০২২)