নাটোর প্রতিনিধি : পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের মামলায় বুধবার গ্রেফতারকৃত জেলা জামায়াতের আমির ইউনুস আলীসহ ১৫ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মুন্নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এদের মধ্যে জেলা জামায়াতের আমির ছাড়াও অফিস সম্পাদক সাদেকুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক বেলালুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক ও নাটোর শহর জামায়াতের আমির আতিকুল ইসলাম রাসেল, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মীর নুরুল ইসলাম, নলডাঙ্গা থানা জামায়াতের আমির আব্দুর রব, নলডাঙ্গা থানা শিবিরের সেক্রেটারি মামুনুর রশীদ, নলডাঙ্গা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, খাজুরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুর রউফ, শিবির কর্মী আরিফ হোসেন, নাজিম উদ্দীন, মুক্তার হোসেন, দিদারুল ইসলাম, ফজলুল হক নান্নু ও মিলন রয়েছেন।

বুধবারের পুলিশ সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নাটোর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার বিকেলে শহরের হরিশপুর বাইপাস চকরামপুর এলাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে তৌহিদি জনতার ব্যানারে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। মিছিলটি শহরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় মিছিলকারীরা রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ সাবেক শিবির নেতা শামসুল ইসলাম কল্লোলকে আটক করলে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট ছুড়তে থাকে। এতে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জামায়াত-শিবির। এসময় পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করে।

পরে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার ওই ১৫ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামিদের পক্ষ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

(এমআর/এএস/অক্টোবর ০২, ২০১৪)