প্রদীপ কুন্ডু


সাংবাদিক, কলাম লেখক, মানবাধিকার কর্মি আমাদের সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের অগ্রনায়ক, কমিউনিটির সুপরিচিত দাদা -শিতাংশু গুহ রচিত “করোনার কথা” ও “জন্ম থেকে জ্বলছি“ বই দুইটির প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল গত  ৫ জুন রোববার ২০২২। বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য প্রবাসী এবং বই প্রিয় মানুষের  উপস্থিতিতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ‘জুইস সেন্টারে’ অনুষ্ঠিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদক বিজয়ী লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা ড: নুরুন নবী। সভাপতিত্ব করেন লেখক কবি ও বুদ্ধিজীবী বেলাল বেগ এবং উপস্থাপনায় ছিলেন কবি ফকির ইলিয়াস। ঢাকার বই মেলা ২০২১ ও ২০২২-এ যথারীতি “করোনার কথা” ও “জন্ম থেকে জ্বলছি“ প্রকাশিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ  ও মুক্তচেতনা আমাদের প্রকাশনা -এই  শ্লোগানে যাদের বিশ্বাস আর সম্মান সেই আগামী প্রকাশনী সংস্থা বই দু’টি প্রকাশ করে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরেই বই দুটোর প্রকাশনা উৎসবের খবর পাচ্ছিলাম , নাম শুনেই গ্রন্থ দুটো সংগ্রহ করবার আগ্রহ বেরে যায় , তারপর আবার লেখকের ব্যাক্তিগত আমন্ত্রণ উপেক্ষা করবার ধৃষ্টতা ছিল না । যাই হোক শত ব্যস্ততার মাঝেও উৎসবের মাহন্দ্রক্ষনে একজন পিছন সারির দর্শক শ্রোতা হয়ে কয়েকজন করোনা যোদ্ধাদের বেঁচে থাকার দুর্ধর্ষ ভয়াবহ জীবন যন্ত্রনার গল্প এবং কিছু করোনার ভগবান- নার্স ডাক্তারদের যমালয়ের ( সেই সময়ের হাসপাতালগুলো ) প্রত্যক্ষ মর্ম স্পর্শি বর্নণা শুনবার একটি বিরল ও কঠিন মূহুর্ত অবলোকনের এবং কিছু গুনিজনর মূল্যবান প্রবচনে আস্বাদিত হবার সুযোগ পেয়েছিলাম ।

এ পর্যায়ে এমন অভিজ্ঞলদ্ধ আয়োজনের জন্য লেখক গুহ এবং তার পরিবারকে ভূয়সী সাধুবাদ জানাবার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে নিজেকে ধন্য করতে চাই । অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্ত চিন্তার অগ্র পথিক , মহান একুশ পদক প্রাপ্ত লেখক ,মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুণ নবী যিনি সশরীরে অনুস্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি অসুস্থতার কারণে কিন্তু তিনি একটি টেলি বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি লেখক শিতাংশু গুহকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার অর্থ হ’ল আর দশজন মনুষ থেকে নিজেকে পার্থক্য করা ,আর এই পার্থক্য টা হ’ল মানুষ হয়ে মানুষের জন্যে কিছু একটা করা । গ্রন্থ দুটো পাঠ শেষে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহান মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুণ নবীর ঔউক্তিটুকু বার বার বুকের মাঝে বেজে যাচ্ছিল, আর তখনি অন্তর থেকে একটি কথা উচ্চারিত হচ্ছিল , বই দুইটি বিশেষ করে “করোনার কথা “একজন মানবিক লেখক, সাংবাদিক শিতাংশু গুহকে সত্যিকার্থেই একজন ভিন্ন রকমের মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করেছে যা আমাদের জন্যে একটি গর্বিত বিষয় ।

লেখক শিতাংশু গুহ বই দু’টি প্রকাশের পটভূমিকায় জানান, ‘করোনার কথা’ মূলত: করোনা-কালীন নিউইয়র্কে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো এতে তা বিধৃত আছে’ আছে বহু মৃত্যু ও বেঁচে থাকার কাহিনী। বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের ঘটনা এবং অতীত মহামারীর ইতিহাস আছে। এতে বেশ ক’জন ডাক্তারের কথাবার্তা এবং তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়েছে। লেখকের মতে বইটি ট্রাজেডীময় এবং একটি প্রামাণ্য দলিল।

জন্ম থেকে জ্বলছি’ নামটি দেয়ার ঘটনাটি লেখক প্রকাশ করে জানান, সম্ভবত: আশীর দশকের শুরুতে ঢাকার ফার্মগেট সংলগ্ন গ্রিনরোডে একদিন একটি ট্রাক যাচ্ছিলো। ট্রাকের বিশাল পেট্রল ট্যাঙ্কির ওপর লেখা ছিলো ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’। এতদিন বাদেও লেখক তা ভুলেননি, তারমতে তিনি জন্ম থেকেই জ্বলছেন। বইয়ের শুরু বঙ্গবন্ধু‘র ওপর প্রবন্ধ দিয়ে। লেখক প্রশ্ন রেখেছেন, আজকের বাংলাদেশ কি বঙ্গবন্ধু’র বাংলাদেশ? এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?

অনুষ্ঠানে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ বইটি’র ওপর মূল আলোচনা করেন ড: সব্যসাচী ঘোষ দস্তিদার, এমিরেটস সার্ভিস প্রফেসর, সুনি ওল্ড ওয়েস্টবেরী ইউনিভার্সিটি, নিউইয়র্ক। ‘করোনার কথা’ বইয়ের মূল আলোচক ছিলেন লেখক ডাক্তার সুভাষ শিকদার। সাবেক উপাচার্য ড: দুর্গাদাস ভট্টাচার্য্য একটি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়ে দেন, যেটি পরে শোনান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া। লিখিত বক্তব্যে ড: দুর্গাদাস ভট্টাচার্য্য ‘করোনার কথা’ বইয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।

ড: দস্তিদার বলেন, লেখক যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, তা কেউ করতে চাননা, বা শুনতে চাননা, অথবা মানতে চাননা। অথচ ঘটনা ঘটছে। বুঝতে হবে লেখক কেন জন্ম থেকে জ্বলছেন। ডাক্তার সুভাষ শিকদার বলেন, করোনা নিয়ে ঘটনাবলী লেখক সুন্দরভাবে ফুটিয়েছেন, যা হয়তো ভবিষ্যতে গবেষণায় সাহায্য করবে। তিনি বলেন, ডাক্তারদের যে কাজটি করার কথা, তা করেছেন শিতাংশুদা, তাঁকে ধন্যবাদ।

এতো গেল প্রকাশনা উৎসবে গ্রন্থ দুটো সম্মন্ধে গুণীজনের জ্ঞানলদ্ধ আলোচনা । এবারে আসুন বই দুটোর পাঠান্তে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে প্রাসঙ্গিক কিছু ভাবনার সন্নিবেশ করণে সচেষ্ট হই । আজকে আমি আলোকপাত করব “করোনার কথা “ বইটির উপর ।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির কর্মকান্ড ও বিপন্ন মানবতার কল্যাণে নিবেদিত লেখক শিতাংশু গুহ দেখলেন , ২০২০ সালের করোনা কালে সারা বিশ্ব টালমাটাল , মানুষ দিশাহারা , ঘরে বসে বসে টেভিশনের পর্দায় মৃত্যুর স্তুপ দেখে দেখে মানুষ ক্লান্ত । সাংবাদিক লেখকের আর্ত চিৎকার একটা কিছু করতে হবে ! কত নার্স, কত ডাক্তার, করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে দিতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে ,মানুষ বুঝতে পারছে, তারাই সত্যিকারের ভগবান ! এত মৃত্যু, এত কান্না বেঁচে থাকার এত সংগ্রাম, এত বলিদান, সবকিছু কি বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাবে ? না, হারিয়ে যেত পারে না , সাংবাদিকতার দুরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে লেখক খুঁজতে শুরু করলেন , করোনায় মৃত মানুষদের, তাদের সজনদের, করোনা যোদ্ধাদের, সেই সমস্ত করোনাকালিন ভগবানদের ( ডাক্তার , নার্স ), -তাদের সজল বেদনা, রক্তক্ষরণ অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করে সৃস্টি করলেন করোনার কথা, -গল্প নয় সত্যি কথা, একটি ইতিহাস ।

একজন রনবীর বরুয়ার যমের দুয়ার থেকে ফিরে আসার লোমহর্ষক, বেদনাদায়ক ঘটনার বর্নণা দিয়ে শুরু করা হয়েছে “করোনা কথা” র জীবন্ত গল্প । মিঃ বরুয়া সে সময়ের এ্যামাহার্স্ট হাসপাতালকে নরককুণ্ড এবং তার পরিবারের অবর্ণনীয় দুঃসহ অবস্থার বর্নণা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । হাসপাতালের পাশে বেডে নাদুস নুদস চেহারার মিঃ পেরেজের নির্মম মৃত্যু দেখেছেন চোখের সামনে, যিনি চিৎকার করে বলতেন, আই ডন্ট ওয়ান্ট টু ডাই, আই জাস্ট রিটায়ার্ড, আই ডন্ট ওযান্ট টু ডাই !!

আমাদের প্রবাসীদের সকলের সুপরিচিত মুখ ,যার চলে যাওয়াকে এখনো অনেকের কাছে একটি দুঃস্বপ্ন । মন্দিরে মন্দিরে কমিউনিটির প্রতিটি অনুষ্ঠান পর্বে যার অনুপস্থিতি আমাদেরকে কাঁদিয়ে বেড়ায়, যার সাথে অনেকের মত আমারও ভালরকমের যোগাযোগ ছিল, বড় দাদার বয়সী হলেও আলাপ হতো বন্ধুর মত -রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথের গান, বিবেকানন্দ, বেদ উপনিষদ, গীতা, ধর্মান্ধতা, গোরামী এই সব বিষয় নিয়ে । নিজের চিন্তা চেতনার সাথে অনেক সাদৃশ্যতা ছিল, বাচনভঙ্গিটা ছিল খুবই চমৎকার, অনেকদিন কোলকাতার তারা টিভির “আজ সকালের আমন্ত্রণে “অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা মৈত্রীয়ের সাথে অতি সুন্দরভাবে আলাপচারিতা করতে শুনেছি, এখনো যখন তারা টিভির এই প্রগ্রামটা দেখি তখন তাকে ভীষন মিস্ করি । উদার ধার্মিক চিন্তা চেতনার ব্যাক্তিত্ব ছিলন ,জীবদ্দশায় এই ধরণের মানুষগুলোকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি না, বুঝি তখন সে যখন বহুদুরে । পাঠক বলছিলাম , শ্রদ্ধাভাজন বিদ্যুৎদার কথা ।বিদ্যুৎ বিহারী দাস, যদি আমার স্মৃতিভ্রম না হয় তাহলে দিনটি ছিল ২০২০এর ২০ এপ্রিল, রাত ৮ টা কি ৯টার দিকে যতটুকু মনে পড়ছে আমাদের শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ইউ এস এর প্রাণ পুরুষ , আমার প্রিয় ডাঃ দাস দাদা (ডাঃ প্রভাত দাস ) এর একটা টেক্সট ম্যাসেজ , “বিদ্যুৎ আর নেই ।”সহসা মনে হয়েছিল সারা ঘরময় ঘন কাল অন্ধকারে ছেয়ে গেছে , আমার ভীষন কান্না পাচ্ছিল , কিন্তু কাঁদতে পারছিলাম না , আমার সহধর্মীনির চোখে জল , কেউ কোন কিছু বলতে পারছিলাম না । ২২ এপ্রিল বিদ্যুৎদার স্মরণে একটি কবিতা পোস্ট করেছিলাম ।এখানে কবিতার শেষাংশটুক প্রকাশ করতে চাই -——

জীবনের যবনিকাপাত হয়েছে আধারের মঞ্চে-
চির অন্তলীন ,
তোমার কর্মপথে অবিচল প্রত্যয়ে স্থির যোজ্ঞ উত্তরসূরী -ভয়হীন ।
তুমি ছিলে থাকবে চির অমলিন তুমি রবে নিরবে ,
বিদায় বন্ধু ,শূণ্যপারের খেয়াঘাটে হয়ত একদিন দেখা হবে ।।
একজন মানুষ কতটুকু সজন হলে তার শূণতায় কবিতার সৃষ্টি হয় - আমাদের প্রিয় বিদ্যুৎদা তার সার্থক দৃস্টান্ত ।
করোনার যন্ত্রনাদায়ক আধার মঞ্চে বিদ্যুৎদার নিঃসঙ্গ বিদায় সবাইকে অসহায়ের মত কাদিয়েছেন । সেই কাহিনী “করোনার কথা “য় বিধুরা নিশিথিনীর কান্না হয়ে মর্মর ধ্বনিতে বেজে উঠেছে ।
আছে শ্রী মতি সুজাতা চৌধুরীর প্রিয় স্বামীর মৃতদেহ পাহারারত করোনাক্রান্ত মা সন্তানের মর্মস্পর্শী ঘটনার হৃদয় বিদারক আহাজারির কহিনীর”দুঃখ রাতের” বর্ণনা ।

বইটি না পড়লে জানা হতো না সিরাজগন্জের উল্লাপারার ব্রন্ক্সের একজন ক্যাব চালক জাফরের নির্মম মৃত্যুর ঘটনা , যার ছেলে হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । যারা নিজেদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষায় মানুষ করার প্রত্যয় নিয়ে একটু ভালভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে ,সেটা জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন চায়, কিন্তু একটি মৃত্যু সব স্বপ্নকে দুমরে মুচরে দিয়ে যায় । যে রিপোর্ট প্রচার করতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত টিভি সিএনএন -এর রিপোর্টারের চোখের কোনা ভিজে যায় ।

সমাজের বিশিষ্টজন গোপল দত্ত থেক শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়া এবং তাদের অন্তেস্টিক্রিয়া সমাধানে নিরবে সেবা প্রদান করে গেছেন - একজন সাধন দাস । আমি ধন্য দাদাকে আমি খুব ভাল করে চিনি । দাদাকে দন্ডবৎ প্রনাম । “সার্থক তব জনম মনষ্যকুলে “

এই গ্রন্থের আলোচনা প্রসঙ্গে ডাঃ সুভাষ সিকদার যথার্থই বলেছিলেন, যাদের হার্ট দুর্বল তাদের জন্যে এই বইটি খুবই বিপদজ্জনক । বইটি পড়তে গিয়ে এর সত্যতা মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেছি ।

বৈশ্বিক করোনা সামাজিক অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক জীবনে প্রাণের স্পন্দনকে এক অজানা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে , তাপরেও মানুষের বেঁচে থাকার নিরন্তর সংগ্রাম কখনো থেমে থাকে না ,থেমে থাকে না মানুষের মানবিক শ্বাস্বত মূলবোধের ধর্ম , লেখক তার সহজাত লেখনীর মধ্য দিয়ে মানুষের সেই মহান আচরণের জয়গান গেয়েছেন যার ফলশুতিতে পাঠকের কাছে দারুনভাবে সমাদৃত হবে বইখানা ।

সবশেষে আর একটু বলতে চাই , বইটির বিষয়ে এতকিছু বলেও মনে হলো অনেক কিছু বলা হয়নি । তাই পাঠকের আর একটু অপেক্ষা ভিক্ষা প্রার্থনা করে বলতে চাই ,”করোনার কথা “শুধু একটি বই নয় , এটি একটি প্রামাণ্য দলিল । এমন একদিন হয়ত আসবে যেদিন কোন এক চিত্র নির্মাতা এই গ্রন্থের ভিত্তিতেই তৈরী করবেন তার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চিত্র - “করোনার কথা । “সেলুট লেখক শিতাংশু গুহ । জয় হোক আপনার লেখনী ; জয় মানবতার ।
পরবর্তীকালে আলোচনার চেষ্টা করব “জন্ম থেকে জ্বলছি “গ্রন্থ বিষয়ে।

(পিকে/এসপি/জুন ২৭, ২০২২)