টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। মহাসড়কের ৬০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র এই যানজটের কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে দেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে যানজট শুরু হয়ে মধ্যরাতে তা তীব্র ‍আকার ধারণ করে। রাত চারটায় মহাসড়ক পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মির্জাপুরের গোড়াই থেকে কালিহাতী উপজেলার সল্লা পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের কারণে থেমে আছে গাড়ি।

যানজটে আটকে যাত্রীরা জানান, দুই ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগছে ৭-৮ ঘণ্টা।যানজট এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, গাড়ি চাকা ঘোরাটাই আমাদের কাছে স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গরুভর্তি ট্রাক বিকল হওয়া, রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল ও ঈদ-পূজার কারণে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এ যানজটের অন্যতম কারণ।

বাসের কয়েকজন চালক অভিযোগ করে বলেন, আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা কয়েকগুন বেশি। এদেরে মধ্যে ঢাকাগামী গরুভর্তি ট্রাকের সংখ্যা প্রচুর। মূলত এই ট্রাক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বিকল ও বিভিন্ন যানবাহনের ওভারটেকিং এর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যুবায়দুল আলম জানান,পুংলী,আশেকপুর,করটিয়া ও পাকুল্লাসহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে গরুভর্তি কয়েকটি ট্রাক বিকল হয়ে যায়।এটি যানজটের অন্যতম একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া মির্জাপুরের দেরুয়া রেল ক্রসিংয়ে ২৪ ঘণ্টায় যেখানে ১৩টি ট্রেন যাতায়াত করতো, ঈদ উপলক্ষে বর্তমানে সেখানে ১৭টি ট্রেন যাতায়াত করছে। এ কারণে মহাসড়কের এই পয়েন্টে দিনে ৩৪ বার ৫ মিনিট বা তার বেশি করে সময় রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। এই হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে।তার উপর ঈদ উপলক্ষে বাড়তি চাপের কারণে এই পয়েন্টে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হয়ে যায়। এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

টাঙ্গাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহম্মেদ জানান,‘আমরা যানজট নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৩, ২০১৪)