স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : ঈদ-উল-আযহার নামাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ। ত্রিপল ও শামিয়ানা টানানো শেষ, চলছে লাইটিং, বৈদ্যুতিক ফ্যান ফিটিং ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ ঘুরে এমন প্রস্তুতি দেখা গেছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইলেক্ট্রিশিয়ান ও ডেকোরেটর সার্ভিসের লোকজন।

বৃষ্টি যেন বিড়ম্বনা তৈরি করতে না পারে এ জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ত্রিপল টানানো হয়েছে। পূর্ব-পশ্চিমে মাঠটিকে ৪ ভাগ করে টিনের ছাউনির মতো বাঁশের মাথায় ত্রিপল টানানো হয়েছে।

তার নিচে দেওয়া হয়েছে শামিয়ানা। নিচ থেকে বসে কোন ভাবে অনুমান করার উপায় নেই সেখানে ত্রিপল দেওয়া রয়েছে।

মাঠের পুর্ব প্রান্তে কবির ইলেক্ট্রনিক্স(পুর্ব বাসাবোর), আর পশ্চিম প্রান্তে মেহরাবের সামনে জয়েন্ট ইলেক্ট্রিকের ইলেক্ট্রিশিয়ানরা ফ্যান লাগাতে ব্যস্ত।

কবির ইলেক্ট্রনিক্সের ম্যানেজার ফয়জুল ইসলাম জানান, তারা ফ্যান ও লাইট লাগানোর সাব ঠিকা নিয়েছেন। পুরো মাঠে আট’শ ফ্যান ও এক হাজার টিউব লাইট লাগাবেন। এরমধ্যে ১৫০টি থাকছে স্ট্যান্ড ফ্যান বাকিগুলো সিলিং।

আর মাঠের পশ্চিম প্রান্তে ফ্যান লাগানোর কাজে ব্যস্ত জয়েন্ট ইলেক্ট্রিকের ইলেক্ট্রিশিয়ান লিটন মিয়া ভিন্ন তথ্য জানান। তিনি বলেন, মোট ৪’শ ফ্যান লাগানো হবে। এরমধ্যে ২’শ সিলিং আর ২’শ স্ট্যান্ড ফ্যান। শনিবারের মধ্যেই তাদের ফ্যান লাগানোর কাজ শেষ হবে বলে জানান তারা।

কদম ফোয়ারার পাশে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে বিশাল বৈদ্যুতিক ক্যাবলের স্তুপ। নিরাপত্তা সার্ভিস লিমিটেড’র (মগবাজার) কয়েকজন টেকনিশিয়ান ক্যাবলের কাজ করছেন।

টেকনিশিয়ান ফজলুল হক জানান, তারা সিসি ক্যামেরা স্থাপন কাজে ডিএমপিকে সহায়তা করছেন। ডিএমপির ক্যাবল ও সিসি ক্যামেরা তারা সেটিং করবে। প্রবেশ দ্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট ৬৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

মাঠের ঠিক পশ্চিমে গিয়ে দেখা মেলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) গুলিস্তান অফিসের দু’জন স্টাফ। তারা ইমামের দক্ষিণপাশে ফোন স্থাপনের কাজ করছিলেন। সেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি ফোন স্থাপন করা হবে বলে জানান লাইনম্যান শাহ আলম।

ডেকোরেটরের কাজ পেয়েছে চাঁনখারপুলের মেসার্স পেয়ারু সর্দার এন্ড সন্ড ডেকোরেটর। তারা কাজটির জন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সাব ঠিকা দিয়েছেন। তারাই ভাগ হয়ে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি গত ঈদেও কাজ পেয়েছিলেন।

মাঠের পূর্ব প্রান্তে প্রধান ফটকের উত্তরে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। আর দক্ষিণে র‌্যাবের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্প স্থাপন বসানো হয়েছে। বোরবার বিকেলের মধ্যে কাজ শেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হবে মাঠের দায়িত্ব।

ঈদের নামাজের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম’র খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ। একসঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।

উত্তর- পশ্চিম কোণে ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের প্রবেশের জন্য বিশেষ ৠাম্প তৈরি করা হযেছে। আর মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মাজার সংলগ্ন গেটটি মহিলাদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।

মুসল্লিদের পার্কিংয়ের জন্য কোর্ট চত্বর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাঠ উন্মুক্ত থাকছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঈদগাহের তদারকির দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা) খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম জানান, মাঠের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শনিবারের মধ্যেই শতভাগ কাজ শেষ হবে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৩, ২০১৪)