সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : হত্যা চেষ্টার এক আসামীকে সকালে জামিন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে বিকেলে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে । বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বালাপোতা গ্রামের শেখ আবুল কালাম জানান, প্রতিবেশি শাজাহান শেখের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে শাজাহান শেখসহ ১১ জনের নামে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ থানায় ছিনতাইসহ একটি হত্যার চেষ্টা মামলা করেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সেকেন্দার আলী গত ১৮ মে আদালতে এজাহারভুক্ত আসামীদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র দাখিলের আগে ১০ জন আসামী আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও প্রধান আসামী শাজাহান শেখ গত বৃহষ্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন জানান।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল হাবিব জানান, তিনি বৃহষ্পতিবার বাদিপক্ষে জামিন শুনানীতে অংশ নেন। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. আশরাফুল আলম। শুনানী শেষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক এরশাদ আলী আসামীর জামিন না’মঞ্জুর করেন। আবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই আসামীকে জামিন দেওয়া হয়েছে মর্মে তিনি জানতে পারেন।
সাতক্ষীরা আদালত গারদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি উপপরিদর্শক শাজাহান আলী জানান, শেখ শাজাহানের জামিন বাতিল করার পর তাকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে গারদে আনা হয়। বিকেলে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক এমদাদুল হক মোল্লা জানান, সংশ্লিষ্ট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এরশাদ আলী প্রকাশ্য আদালতে শেখ শাজাহানের জামিন বাতিল করলেও বিকেলে তিনি পিওনের মাধ্যমে নথি খাস কামরায় চেয়ে নেন। পরে তিনি ওই আসামীকে ২০ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে ঈদ উপলক্ষে তাকে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে মর্মে তিনি ধারনা করছেন।

(আরকে/জেএ/ অক্টোবর ০৩, ২০১৪)