আবু নাসের হুসাইন, সালথা : পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে ফরিদপুরের সালথার সদর বাজারের গরুর হাটে পশুর আমদানি শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমে উঠছে কোরবানি পশুর হাট। তবে ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি সাইজের দেশি গরুর প্রতি।

উপজেলার সর্ববৃহৎ সালথা সদর বাজারের গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। বাজারে অন্যবারের তুলনায় এবারও গরু-ছাগলের দাম স্বাভাবিক দেখা গেছে। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা উভয়েই বলেছেন, আগামী হাট থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত হাটগুলোতে কেনা-বেচা বেশি হবে। তাদের প্রত্যাশা ওই হাটে বেচাকেনা আরও ভালো হবে।

ক্রেতারা গরুর হাটে এসে ঘোরাফেরা করছেন, দাম জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সাধারণ ক্রেতাদের গরু কিনতে কম দেখা গেছে।

আ: আলিম নামে এক ব্যাক্তি বলেন, কোরবানীর ঈদ হিসেবে সালথার গরুর হাটের হাবভাব দেখতে এসেছি। পর্তা মতো হলে কিনবো, তা না হলে ঈদের আগে আরো কয়েকটি হাট পাব। সেদিন কিনব। তিনি বলেন, ঈদের এত আগে থেকে গরু কিনে রক্ষাণাবেক্ষণ করা কঠিন।

দেশি গরু নিয়ে হাটে আসা জব্বার শেখ নামে এক গরু বিক্রেতা বলেন, ঈদের প্রথম গরুর হাট হিসেবে গরুর দাম ভালোই। আমার গরুর কয়েকটা দাম হয়েছে। এখন বিক্রি করে দিবো।

ক্রেতা দেলোয়ার মোল্যা বলেন, এ বছর গরুর দাম স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে হাটে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি। ঈদের দুইদিন আগে মূলত গরু কেনাবেচা বেশি হবে।

সাধারণ ক্রেতারা গরু কম কিনলেও ছোট ছোট ব্যাপারীরা গরু কিনতে শুরু করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন হাটে গরু বিক্রি করার জন্য পাঠাবেন।

সালথা সদর বাজারের ইজারাদারের প্রতিনিধি শওকত হোসেন মুকুল বলেন, সালথা সদর বাজারের হাটটি একটি নিরাপদ হাট বলে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েরই আকর্ষণ এ হাটে। তিনি বলেন, ঈদের প্রথম হাট হিসেবে হাটে গরুর আমদানী মোটামুটি হয়েছে। ঈদে আগে আরো কয়েকটি হাট পাবো। আশা করি আগামী হাট থেকে গরু-ছাগলের আমদানী ও বিক্রি বাড়বে।

এছাড়াও উপজেলার বালিয়া বাজার, নকুলহাটি বাজার, সোনাপুর বাজার, যদুনন্দী বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে গরু-ছাগলের হাট রয়েছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, গরু বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘেœ হাটে আসতে পারেন, ক্রেতারা যাতে কোন সমস্যা ছাড়া গরুর হাট থেকে কিনে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে পশুর হাটে গরু-ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের তত্ত্বাবধানে এই মেডিকেল টিম পশুর হাটে কাজ করছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারী তালিকাভূক্ত উপজেলার সকল পশু হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। এই উপজেলায় দেশি গরু বেশি তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সুস্থ ও সবল পশু হাটগুলোতে বেচা-কেনা হোক। সালথা সদর বাজারের গরু-ছাগলের হাটে আমাদের টিম কাজ করেছে।

(এন/এসপি/জুন ৩০, ২০২২)