রাজন্য রুহানি, জামালপুর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বিনির্মাণ হবে তথ্য ও জ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ। সে লক্ষেই দেশের ১২ টি জেলায় স্থাপিত হচ্ছে আইটি হাইটেক পার্ক।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশের আধুনিক রূপটাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে হাইটেক পার্কগুলোই হবে মূল অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।

শনিবার (২ জুলাই) সকালে জামালপুর পৌরসভার মুকুন্দবাড়ী এলাকায় জামালপুর আইটি হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর আইটিসি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তারুণ্য দীপ্ত নেতৃত্বে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিজিটাল। এদেশের তরুণরা যেন শুধু সনদ নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে তারা যেন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ মানব সম্পদে পরিনত হতে পারে সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার এবং জেলা পর্যায়ে ১২টি হাইটেক পার্কসহ সব মিলিয়ে ছোট বড় ৯২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছেন।

তিনি বলেন, জামালপুরে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি হাইটেক পার্ক নির্মিত হবে। এখানে প্রতিবছর ৩ হাজার তরুণ তরুণীর প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং সরাসরি ১ হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ কাজ চালাতে পারবে। জামালপুরের ছেলে-মেয়েরা এসএসসি, এইসএসসি পাশ করে এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা জামালপুরে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।

পরে তিনি জামালপুর হাইটেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির বীরমুক্তিযোদ্ধা গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে ১২টি আইটি/হাইটেক পার্ক প্রকল্প আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, জেলা পরিষদের প্রশাসক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু, ফিল্যান্সার জান্নাতুল ফেরদৌসী ও সাইফুর রহমান হৃদয় প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আর্নিং এন্ড লার্নিং প্রকল্পের আওতায় ২২জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫.২৩ একর জমির উপর অত্যাধুনিক এই হাইটেক পার্কটি নির্মিত হবে। এখানে থাকবে ৭তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, বাউন্ডারি ওয়াল, গেইট হাউজ নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ওয়াকওয়ে, নলকূপ স্থাপন এবং অভ্যন্তরীন পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল ওয়ার্কস, ১ হাজার লোকের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রায় ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

(আরআর/এসপি/জুলাই ০২, ২০২২)