স্টাফ রিপোর্টার : ঈদ ও পূজাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। আর শুক্রবার মানুষের সেই ঢল যেনো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। যে যেভাবে পারে ছুটে চলছে নাড়ীর টানে, তা সে যত ঝুঁকিপূর্ণই হোক না কেন।

হাজারো মানুষ ছুটছেন ঘাটের দিকে। দূর থেকে দেখে মনে হবে মানুষগুলোকে কেউ যেনো তাড়া করেছে। জনসমুদ্রের এই ঢেউ আছড়ে পড়ছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সরেজমিনে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সদরঘাট এলাকা বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়ে প্রায় বেসামাল হয়ে পড়েছে। যে যেদিক দিয়ে পারছে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করছে।

চাঁদপুর, বরিশাল, বরগুনাগামী লঞ্চগুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ।

যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। কিন্তু তারপরও লঞ্চ ছাড়ছে না। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার জন্য লঞ্চগুলো ঘাটে অধিক সময় ব্যায় করছে।

যাত্রীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো লঞ্চ ছাড়তে দেওয়া হবে না। কোনো লঞ্চ যদি আইন অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

নৌ পুলিশ উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাসিম বলেন, আমরা বিআইডব্লিউটিএকে সহযোগিতা করছি। নৌপথে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে নৌ পুলিশ, ঢাকা জেলা পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএর স্বেচ্ছাসেবক সবাই মিলে কাজ করছি। লঞ্চে যাতে কোনোভাবেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

যেসব লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশে সেসব লঞ্চের অতিরিক্ত যাত্রীদের লঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন এসআই।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০১৪ )