আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন যে, তার বাহিনী বোমা বিধ্বস্ত লিসিচানস্ক শহর থেকে সরে গেছে। তবে তিনি, রাশিয়ার হাত থেকে লিসিচানস্ক শহর মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দূরপাল্লার পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যে হারানো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানান তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, যদি আমাদের সেনাবাহিনীর কমান্ডাররা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে লোকজনকের প্রত্যাহার করে নেয় যেখানে শত্রুরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে, তবে সেখানে একটাই অর্থ দাঁড়ায়। এটা লিসিচানস্ক শহরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। একই সঙ্গে তিনি আধুনিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ লিসিচানস্ক শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ করেছে। এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার (৩ জুলাই) শহরটি দখলের দাবি করে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে যে, তীব্র লড়াই হয়েছে লিসিচানস্ক শহরে। তবে পরে তারা সেখান থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, লিসিচানস্ক দখলের মধ্য দিয়ে পুরো লুহানস্ক অঞ্চল স্বাধীন হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাদের সেখানে প্রতিহত করা হয়েছে।

যদিও ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছে যে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করার জন্য, প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের কৌশল এবং আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধি করবে। লিসিচানস্ক আবার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দেশটির পশ্চিমে, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত শহর স্লোভিয়ানস্কে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি ডোনেটস্ক অঞ্চলে, যা লুহানস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেটি ডনবাস শিল্পাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ নিলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডোর তৈরি সম্ভব হবে।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৪, ২০২২)