ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : রেলওয়েতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের অধীনে অস্থায়ীভাবে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের টিএলআর (অস্থায়ী রেলওয়ে কর্মচারী) সংগ্রাম কমিটির আহব্বায়ক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী রেল শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল হাসান স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন, টিএলআর ফুলমিয়া (রাজবাড়ি), লায়েব উদ্দিন (আড়ানী), শিলা জমিদার (ফরিদপুর)। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন টিএলআর সনাতন কুমার।

পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় টিএলআর সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, আউটসোর্সিংয়ের নামে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। রেলওয়ের বিধান মতে তিন বছরের ওপর চাকরি হলে তা জাতীয়করণ করতে হবে। অস্থায়ী কর্মচারীদের তিনটি উৎসব ভাতা দিতে হবে। নিয়োগ বিধি ২০২২ সংশোধন না করেই দুটি পদে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। কথায় কথায় চাকরিচ্যুত করা যাবে না।

ফরিদপুরের শিলা রানী (ঝাড়ুদার) বলেন, আমরা কয়েক হাজার অস্থায়ী রেল কর্মচারী হঠাৎ শুনে হতবাক হলাম। আমাদের চাকরি থেকে বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং ঠিকাদারের মাধ্যমে লোক নিবে। এটি অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক। নয় বছর ধরে চাকরি করছি। এখন বাদ দিলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো।

গেটকিপার লায়েব আলী সমাবেশে বলেন, রাজশাহীর আড়ানী রেলগেটের কাছে উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রার জন্য পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় থেকে আমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৪ বছর বিনা বেতনে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে গেটকিপারের দায়িত্ব পালন করেছি। মাত্র এক বছর কয়েকমাস হয়েছে অস্থায়ী গেটকিপার পদে চাকরি হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে আমাদের চাকরি থাকবে না। আমরা আউটসোর্সিংয়ের এ কালো আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

রাজবাড়ি স্টেশনের অস্থায়ী ফুলমিয়া বলেন, আমাদের জানা মতে এভাবে লোক নিয়োগে রেলওয়ের বিধানে নেই। জানা মতে গেটকিপার, খালাসি, টলিম্যান, চৌকিদার, পোর্টার পদে লোক নিয়োগ রেলওয়ে বিধান পরিপন্থি। বিধান ভঙ্গ করে রেলওয়ে লোক নিলে তা পরিপন্থি হবে।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২২)