স্টাফ রিপোরর্টার : ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে বিস্ময়করভাবে উঠে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। পণ্যের গুনগত মান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে গ্রাহক চাহিদার অন্যতম শীর্ষে এই ব্র্যান্ড। বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ, টিভি, এসি, এয়ারকুলার এবং গৃহস্থালী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা এখন ব্যাপক।

মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজীব জানান, দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ফিরেছে। মার্সেল পণ্যের প্রধান আকর্ষণ এর গুনগত উচ্চমান। দেশেই তৈরি হচ্ছে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির মার্সেল পণ্য। দামও তুলনামূলক কম। বাংলাদেশের আবহাওয়া এবং গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ প্রকৌশলী এবং অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে তৈরি হয় মার্সেল পণ্য। তিনি জানান, প্রতি বছর তাদের ৩০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

মার্সেলের ফার্স্ট সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর শামীম আল মামুন বলেন, শুরু থেকেই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছেন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তাদের লক্ষ্য দেশীয় ব্র্যন্ডগুলোর মধ্যে শীর্ষে যাওয়া। তিনি জানান, সাম্প্রতিক গরমের কারণে মার্সেলের ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া সামনে বিশ্বকাপ ফুটবল। এজন্য এখন থেকেই টিভি বিক্রিও বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মার্সেলের আরেক ফার্স্ট সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর রবিউল হাসান সুমন বলেন, দ্রুত বাজার সম্প্রসারণে সম্প্রতি স্মার্ট টেলিভিশন বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে মার্সেল। গরমের কারণে এসির চাহিদা কয়েকগুন বেড়েছে। বেড়েছে ফ্রিজের বিকিও। গ্রাহকের চাহিদা মাথায় রেখে ফ্রিজের নতুন দুটি মডেল বাজারে আসছে। আসছে নতুন এলইডি টিভি। দেশব্যাপী মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটরও নিয়োগ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, সারা দেশে তাদের ৪৫০ জন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে। তারা মার্সেলে বিনিয়োগকে ভালো ও নিরাপদ মনে করছেন। এছাড়াও রয়েছে উত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা। মার্সেলের সার্ভিস সেন্টারের রয়েছে আইএসও সনদ ৯০০১:২০০৮। পণ্য সম্পর্কে যে কোনো অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য রয়েছে হট লাইন।

মার্সেলের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ফ্রিজ বিক্রির ক্ষেত্রে মার্সেল দ্বিতীয় স্থানে। তাদের প্রত্যাশা দেশে বাজারজাতকারী সকল ব্র্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়া। সেলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তারা। নেয়া হচ্ছে আধুনিক বিপণন কৌশল। বিশেষ করে ফ্রিজের বাজার দখলে তারা গড়ে তুলেছে পণ্য গবেষণা কেন্দ্র। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

বর্তমানে ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল, এসি, জেনারেটর, ডিভিডি প্লেয়ার, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েব ওভেন, আইরনসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে মার্সেলের। শিগগীরই প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হচ্ছে আরো কিছু পণ্য।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোয়ালিটি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে যারাই মার্সেল পণ্য কিনছেন তারাই এর প্রসংশা করছেন। তাছাড়া পণ্যের রং ও ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনার কারণে ক্রেতারা মার্সেল ব্র্যান্ড সাদরে গ্রহণ করছেন। মার্সেল ১৮ থেকে ২০ টি মডেলের ফ্রিজ বাজারজাত করছে। রয়েছে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি।

জানা গেছে, মার্সেল ফ্রিজে ডিইসিএস আলট্রাব্রিড ফোর-ডি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রযুক্তির বিস্ময় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার করার ফলে ফ্রিজে রক্ষিত খাবার দীর্ঘক্ষণ সতেজ, টাটকা ও জীবানুমুক্ত থাকছে। ৮০ শতাংশ এনার্জি সেভিং এলইডি বাল্ব ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে কম। শুধু ফ্রিজ নয় টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও এগিয়ে রয়েছে মার্সেল।

মার্সেল উৎপাদন করছে এলসিডি, এলইডি ও সিআরটি টেলিভিশন। বছরে ৩ লাখ টেলিভিশন উৎপাদনের জন্য গাজীপুরে কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে। উন্নত দেশের মতো সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে মেধাবী ও দক্ষ প্রকৌশলীদের মেধাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের সেরা কেমিক্যাল, কাঁচামাল ও মেশিনারিজ।


(এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)