বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হাওলাদার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোটরসাইকেল চালক শেখ মাহিন আলম ফরিদ (৩৮) ও অপর আসামী ফরিদের ছেলে আসিফ শেখকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শেখ মাহিন আলম ফরিদ মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের আব্দুল গনি শেখের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাজাহান আহমেদের নের্তৃত্বে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চালক হত্যাকান্ডের মাত্র ২৪ ঘন্টার মাথায় মঙ্গলবার বেলা ২ টার দিকে উপজেলার খাজুরবাড়িয়া গ্রামের একটি বাড়ীর মুরগীর খুপির ভিতর থেকে প্রধান ঘাতক ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় ওই বাড়ীর বাগানের মধ্য হতে গ্রেফতার করা হয় অপর আসামী ফরিদের ছেলে আসিফ শেখকে।

সোমবার বেলা ২ টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে প্রাণি সম্পদ অফিসের সামনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোটরসাইকেল চালক উপজেলার বারইখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও তার ছেলে কলেজ ছাত্র সাকিবকে প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয় গুরুতর আহত করে একই গ্রামের মোটরসাইকেল চালক শেখ মাহিন আলম ফরিদ ও তার সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে দ্রুত মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস মোটরসাইকেল চালক (৪০) জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে গুরুতর আহত কলেজ ছাত্র সাকিবকে (২০) মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। সাকিবের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এঘটনায় সোমবার রাতে নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মোটরসাইকেল চালক শেখ মাহিন আলম ফরিদ, ফরিদের ছেলে আসিফ শেখসহ ৫ জনকে আসামী করে মোড়েলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহত মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীরের লাশের ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে বারুইখালী গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২২)