নিউজ ডেস্ক : ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদের আগে থেকেই নারীরা মেহেদি উৎসব পালন করেন। হাতে মেহেদি না দিলে ঈদের আনন্দ কখনো পূর্ণতা পায় না!

এরই মধ্যে অনেকেই নিশ্চয়ই বাজার থেকে বিভিন্ন কোন মেহেদি কেনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। তবে হাতের কাছে যে সে মেহেদি পেলেই কম মূল্যে কিনবেন না। এতে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।

ঈদের আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কেমিক্যালযুক্ত নকল মেহেদি দেদারছে বিক্রি করেন। কখনো রাস্তায় ভ্যানে করে বিক্রি হয় কম দামে বাহারি সব মেহেদি আবার বিভিন্ন শপিংমলেও পাওয়া যায় নানা মেহেদি।

তবে কোনটি ভালো আর কোনটি কেমিক্যালযুক্ত মেহেদি তা যাচাই না করেই বেশিরভাগ মানুষ মেহেদি কিনে ফেলেন চটজলদি। ফলে অনেক সময় দেখা যায় এসব মেহেদি ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, র্যাশ বা ফোস্ক পরার ঘটনা ঘটে।

তাই মেহেদি কেনা ও ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা জরুরি। জেনে নিন মেহেদি লাগানোর আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন-

খাঁটি মেহেদির রং কখনো কালো হয় না। সব ধরনের কালো মেহেদিতেই ভেজাল বা কেমিক্যাল মেশানো থাকে।

আসল মেহেদি কখনোই ৫ মিনিট বা তার কম সময়ে গাঢ় রং দেয় না। ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর আসল মেহেদির রং গাঢ় হতে থাকে।

মেহেদির কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনুন। বেশি পুরোনো হলে আবার রং না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

পার্লারে মেহেদি লাগাতে গেলে দেখে নিন নতুন মেহেদি দিচ্ছে কি না। প্রয়োজনে নিজেই মেহেদি কিনে নিয়ে যান।

ফ্রিজে রাখা মেহেদি ব্যবহারের আগে কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। তারপর হাতে লাগান।

শিশুদের হাতে দেওয়ার জন্য অবশ্যই পাতা মেহেদি বেটে লাগান। এতে শিশুর কোমল হাত সুরক্ষিত থাকবে।

৫ মিনিটেই গাঢ় লাল রং পেতে এখন অনেকেই বিভিন্ন মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ত্বক এমনকি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।

যেকোনো মেহেদি ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে হাতে অথবা কানের পিছনে ব্যবহার করুন। এতে অ্যালার্জি হলে জ্বালা-পোড়া করবে বা চুলকাবে। এমন হলে ওই মেহেদি ব্যবহার করবেন না।

মেহেদি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার কারণ হলো এতে মেশানো পিপিডি কালি। এই কেমিক্যাল ত্বকের মারাত্মক অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো হয় মেহেদিতে।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৬, ২০২২)