স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা চলছে এগুলো মোকাবেলা করতে প্রভাবশালী আইনজীবী নিয়োগ করুন। নতুন করে যাতে মামলা না হয় সেভাবে চলেন। আন্দোলনে নেমে আবারও অরাজকতা শুরু করলে আরও মামলা হতে পারে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিতে দিতে কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে। তারা আন্দোলনে নামলে আমাদের সুবিধা। আমরা অনেক দির ধরে রাজপথে নামি না। স্বাস্থ্যের জন্য হলেও রাজপথে নেমে তাদের মোকাবিলা করা উচিত।

ড. কামাল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্নার সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম বলেন, ড. কামাল ও মান্নারা এক হয়েছে। এদের কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই। এরা কাগুজে রাজনৈতিক দল। এদের শক্তি মিডিয়া। এরা বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলে।

ড. কামালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ড. কামাল দলের গণতন্ত্রের কথা বলেন। অথচ তার দলেই (গণফোরাম) গণতন্ত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয় না। একেক সময় একেক জনকে সাধারণ সম্পাদক করেন। তাও আবার ভারপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, এমন কিছু ওয়ানম্যান পার্টি দিয়ে রাজনীতির নতুন মেরুকরণের চেষ্টা করছে।

এখন সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই উল্লেখ করে কামরুল বলেন, ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া-ভুট্টোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সংলাপ যেমন সফল হয়নি। তেমনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেও কোনো সংলাপ সফল হবে না। এদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। তখন যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে সেখানে শুধু সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল দলগুলো থাকবে। বিএনপির স্থান হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তো প্রশ্নই আসে না।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, সে বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গে যেসব কথা বলে, শুনলে শরীরের লোম শিউরে ওঠে। সে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। ফেরারি আসামির এসব কথা সহ্য করার মতো নয়।

জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেতা ড. ইনামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা জি এম আতিক, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০১৪ )