মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায়  নোয়াখালী সুবর্ণচরে মাদকাসক্ত ছেলে দলবল নিয়ে পিতার ওপর মামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ঘটনায় আহত হয় ১ নারী সহ আরো ৪ জন। 

ঘটনাটি ঘটে (৮ জুলাই) শুক্রবার বিকেল ৪ টায় সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলা উদ্দিন কাশেম এর বাড়ীতে।

আহতরা হলেন, মাদকাসক্ত ছেলের পিতা এই গ্রামের মৃত শাহ আলমের পুত্র বেলাল উদ্দিন হাসেম(৬০), আব্লু কাশেম, (৬৫) তার স্ত্রী জোসনেহারা বেগম (৫৫),তার পুত্র মহি উদ্দিন (২৭), অলি উদ্দিন (২০)।

ভুক্তভোগী বেলাল উদ্দিন হাশেম বলেন, আমার পুত্র সোহেল (২৫), শাকিল (৩২), দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে যাচ্ছে এলাকার বখাটে ছেলেদের সাথে উঠাসবায় সে উশৃঙ্খল জীবন যাপন করছে এবং রোহিঙ্গা পাচারের সাথে যুক্ত রয়েছে। এসব কাজের প্রতিবাদ করলে এর আগেও একাধিকবার আমাকে মারধর করে।

আজ বিকেলে এসব অপরাধের প্রতিবাদ করলে তার সহযোগী চর তোরাব গ্রামের রবিনের পুত্র রহিম(৩০), ৩নং ওয়ার্ডের রহিমের পুত্র রুবেলসহ অজ্ঞাত তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে আমার শৌর চিৎকারে আমার ভাই কাশেম, তার স্ত্রী জোসনেহারা ও তার দুই পুত্র মহি উদ্দিন অলি উদ্দিন আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী আব্লু কাশেম বলেন, আমার ভাতিজা দীর্ঘদিন ধরে নেশাগ্রস্থ সব সময় আমার ভাইকে মারধর করে আজকে আমার ভাইকে মারধর করলে আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।

অভিযুক্ত সোহেল বলেন, আমার বাবা আমার আমাকে মারধর করে, মারধরের সময় হয়তো আমার হাত লেগে তাদের শরীরে আঘাত লাগতে পারে। আমার বাবা হাশেম প্রায় আমার মাকে মারধর করে আমি প্রতিবাদ করেছি বলেই এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত রুবেল বলেন, আমরা উঠোনে জাল বানাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি সোহেল তার বাবার সাথে হাতাহাতি করছে এমন সময় আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের ছাড়িয়ে দিতে গেলে আমরাও আহত হই।

মোহাম্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন চৌধূরী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি সোহেল খারাপ প্রকৃতির ছেলে সে মাকদের সাথে যুক্ত আছে। তাকে এলাকায় সব সময় পাওয়া যায়না।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০২২)