শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) মো. সেলিম মিয়ার বিদায় সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবিদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তির ফলে ২৭ এপ্রিল রবিবার আদালত পাড়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

বিদায়ী সিজেএমের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নতির অভিযোগ করে বেশ কিছু পোষ্টার সাটানো হয়। এ পোস্টার সাটানোর ঘটনায় ঘটনায় পুলিশ বিএনপিপন্থী এক আইনজীবীকে আটক করেছে।

এদিকে, আইনজীবীদের একাংশ বারের পক্ষ থেকে ওই বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা বাতিলের সোমবার সকালে আদালত চত্বরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এসব ঘটনায় সিজেএমের বিদায় সংবর্ধনা স্থগিত করা হয়েছে বলে জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, শেরপুরের চীফ জুডিশীয়াল ম্যাজিস্ট্রট মো. সেলিম মিয়া সম্প্রতি শেরপুর থেকে নির্বাচন কমিশনে বদলী হয়েছেন। সেমবার শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তার বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সিজেএমের বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত আইনজীবীদের একাংশ ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিদায় সংবর্ধনা বতিলের দাবী করে আসছিল। কিন্তুজেলা আইনজীবী সমিতি ওই বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার সিন্ধান্তে অটল থাকেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে আদালত প্রাঙ্গন ও আইনজীবী সমিতি’র কার্যালয়ে মো. কামরুল হাসান নামে এক আইনজীবী ওই বিচারকের বিরুদ্ধে পোষ্টার সাঁটায়।

এ খবর পেয়ে শেরপুর থানা পুলিশ ওই আইনজীবীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকালে আইনজীবী সমিতি’র কার্যালয়ের সামনে আইনজীবীদের একাংশ ওই বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা বাতিল এবং আটক আইনজীবীর নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সামাবেশ করেন।

এদিকে আদালত প্রাঙ্গনে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জেলা আইনজীবী সমিতি’র কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এক পর্যায়ে জেলা আইনজীবী সমিতি বিদায় সংবর্ধনা স্থগিত রেখে আটক আইনজীবীর মুক্তি এবং বিদায় সংবর্ধনার ব্যাপারে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মোকদ্দেস ফেরদৌসী জানান, আইনজীবীদের একাংশ নয়, বিএনপি নামধারী কয়েকজন আইনজীবী আদালত প্রাঙ্গনে বিশৃংখলার পাঁয়তারা করছে। তবে আটক আইনজীবী এবং বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


(এইচবি/এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)