বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ঈদের আগে বিয়ে অন্যথায় বিষপানে অত্মহত্যার আলটিমেটাম দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিকের ঘরের দুয়ারে অবস্থান নিয়ে অনশন করছে মরিয়ম (১৬) নামে এক প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নুরুল হক খানের ছেলে প্রেমিক মিলন খানের (২২) সঙ্গে তিনি বিয়ের জন্য অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে কাগুজিরপুল এলাকার নুরুল হক খানের ওই বাড়িতে ভিড় করছেন আশপাশের উৎসুক লোকজন।

স্থানীয়রা জানায়, নুরুল হক খানের ছেলে বরিশাল বিএম কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মিলন খানের সঙ্গে একই এলাকার মজিবুল হক গাজীর ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মরিয়মের ৪-৫ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে উভয়ে দৈহিক সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপনে দু’জনে মিলিত হলে মরিয়ম ঈদের আগে তাকে বিয়ে করে ঘরে তুলতে অনুরোধ জানায় মিলনকে। এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পালিয়ে গেলে মরিয়ম মিলনের ঘরে উঠে অনশন চালিয়ে যাচ্ছে।

মরিয়ম বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক অইলে মিলন বিয়া করবে এই আশা দিয়া আমার সব কাইড়া নিছে। এ কতা এ্যাহন অনেকে জাইনা গ্যাছে। সবকিছু ভোগ কইরগ্যা শেষে এ্যাহন বিয়ার কতায় পালাইয়া যায়। বিয়া কইরগ্যা স্ত্রীর ওধিকার না দিলে বিষ খাইয়া মরমু। ঈদ পর্যন্ত অপেক্ষা কইরগ্যা এই মুখ আর কেউরে দেহামু না।’

এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শংকর চন্দ্র বলেন, ‘স্থানীয় ভাবে উদ্দ্যোগ নিয়ে দুই এক দিনের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসার চেস্টা করা হবে।’

এ বিষয়ে মরিয়মের কৃষিশ্রমিক বাবা মজিবুল হক গাজী বলেন, ‘বিষয়টি আমাগো কাউন্সিলর ও গণ্যমান্যদের জানাইছি। তারা সবাই ধৈর্ষ্য ধরনের পরামর্শ দিছে। মিমাংসার কইরা দেওনের আস্বাশ দিছে।’

এ বিষয়ে মিলনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে সমাজে হেয় করতে নাটক সাজানো হয়েছে। ওদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধে থানায় জিডিও আছে। ভোর রাতে আমার মা বাথরুমে যেতে দুয়ার খুলে বাহিরে বের হতে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মরিয়ম ঘরে প্রবেশ করে। মান ইজ্জত বাঁচাতে বাড়ির বাহিরে অবস্থান করছি।’

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি নরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেনি।’

(এমএবি/অ/অক্টোবর ০৩, ২০১৪)