নরসিংদী প্রতিনিধি : চাঞ্চল্যকর কাজল হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়া আসামি আকতার হোসেন গলায় রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে আকতার আত্মহত্যা করেছেন বলে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল করিম কাজল হত্যা মামলায় দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আকতারকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় প্রদান করেন।

পুলিশের ধারণা, অপরাধবোধ থেকে হয়তো সে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এই মুহূর্তে অপমৃত্যুর বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাননি তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি রাতে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আমলাব মধ্যপাড়া গ্রামের সিএনজিচালক কাজল মিয়াকে আসামি শাহীনের শ্বশুরবাড়ি চরবেলাব গ্রামের আব্দুল হেকিম মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করিয়ে অচেতন করে এবং পরে তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ উজিলাব গ্রামের হাজী আবুল খায়ের ভূঁইয়ার বাগানে ফেলে রাখে। সেখান থেকে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে কাজল মিয়ার বড় ভাই গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে বেলাব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বেলাব থানা পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ শফিকুল করিম সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ ও আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহীন মিয়া ও আলী হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন এবং আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এর চার দিন পর আত্মহত্যা করেন আকতার।

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ০৪, ২০১৪)