নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে অলৌকিকভাবে সদ্য প্রস্যুত সন্তানকে হারিয়ে আম্বিয়া খাতুন (২২) নামে এক প্রস্যুতি পাগলপ্রায় হয়ে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। প্রস্যুতি ওই গৃহবধুকে দেখতে ও তার কথা শুনতে এলাকাবাসী তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে সদ্য সন্তান প্রসব করা ওই প্রস্যুতি মা’ ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট গ্রামের মহুবুল হোসেনের কন্যা আম্বিয়া খাতুনের প্রায় ৪বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী পুকুর গ্রামে বিয়ে হয়। এরই মধ্যে তার পেটে আসা দু’ তিনটি সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি জ্বীন ভুতের আছর বলে তার পরিবারের লোকজন মনে করতেন এবং এবারে আম্বিয়া খাতুনের পেটে বাচ্চা আসলে এলাকার ডাক্তার, ওঝাঁ,কবিরাজ ঝাঁড়ফুক করে পেটের বাচ্ছাটির বয়স ১০মাস পূর্ন হয়। সে হিসেবে ১৭জুলাই রবিবারে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাচ্ছা প্রসবের জন্য পরিবারে আলোচনাও হয়। কিন্তু বিধি বাম। এর পূর্বেই ১৬জুলাই শনিবার রাত অনুমান ২টা ৩০মিনিটের দিকে আম্বিয়ার পেটে একটু ব্যথা হলে সে সবার অজান্তে বাড়ির বাইরে পায়খানায় যায়। এর মধ্যে পেটের ব্যাথাটি অন্যকোন ব্যাথা নয়ম এটি সন্তান প্রসবের ব্যথা বুঝতে পেরে আম্বিয়া পায়খানা হতে বেরিয়ে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে।

প্রস্যুতি আম্বিয়া খাতুনের ভাষ্য মতে পিছন থেকে সে সময় কে যেন তার পা টেনে ধরে সে বাসায় প্রবেশ করতে না পেরে সেখানেই তার সন্তান প্রসব হয়ে যায় এবং পিছন ফিরে সে তার সন্তানকে কোলে তুলে নিতে চাইলে দৈবাৎ ক্রমে সে সময় ৩টি বড় আকারের কুকুর তাতে বাধা দিয়ে সন্তানটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর প্রস্যুতি আম্বিয়া চিৎকার করে কাঁদতে থাকলে বাড়ির লোকজন এসে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ও তার কথা শুনে গ্রামের লোকজন সারা রাত তন্ন তন্ন করে আশে পাশে খুঁজে সন্তানের কোন সন্ধান না পেয়ে বাসায় ফিরে আসে। কিন্তু সন্তান প্রসবের পরে প্রস্যুতি আম্বিয়ার পেট খালি হলেও ঘটনাস্থল কিংবা এখনও তার শরীরের কোথাও কোন রক্তপাত বা ঋতুস্রাব হয়নি। প্রস্যুতি মা’ আম্বিয়া ও তার বাবা মার কথা বিষয়টি জ্বীন ভুতের কারবার। বাচ্ছাটিকে কোন জ্বীন চুরি করে নিয়ে গেছে তার সন্তানটি এখনও বেঁচে আছে। সদ্য প্রস্যুত সন্তানের শোকে মা’আম্বিয় খাতুন এখন পাগল প্রায় হয়ে যখন তখন পাগলের প্রলাপ বকছেন। এলাকাবাসী সে প্রলাপ শুনতে তার বাড়িতে ভিড় করছে।

(বিএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০২২)