টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বাসায় ঢুকে হাত, পা, মুখ ও চোখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় গোবিন্দাসী বাজারের বাসার এ ঘটনা ঘটে। এসময় দূর্বত্তরা বাসার আলমারি খুলে ১৫ ভরি স্বর্ণাঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।

জানা যায়, নিহতের নাম সুদেব কর্মকার। সে কালিহাতী উপজেলার দশকীয়া গ্রামের ভোম্বল কর্মকারের ছেলে। ব্যবসার সুবাধে সে দীর্ঘদিন ধরে গোবিন্দাসীতে বসবাস করে আসছিল।
সুদেবের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী মহাদেব জানান, পূজোর ছুটির কারণে সুদেবের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে গ্রামের বাড়ি কালিহাতী উপজেলার দশকীয়া গ্রামে অবস্থান করছিল।

ব্যবসার সুবাধে সুদেব ভূঞাপুরের গোবিন্দাসীতে তার নিজ দোকানেই ছিল। বাসায় গিয়ে রান্না করে খেতে হবে বলে সারাদিন দোকানের কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোকানের সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ বাজারের পাশে তার নিজ বাসায় চলে যায়। তারপর রাতে তার সাথে সাক্ষাত বা মোবাইলে কথা হয়নি।

দোকানের আরেক কর্মচারী ফরিদ মিঞা জানান, দোকানের মালিক সুদেব কর্মকার প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে দোকান খুলেন। শনিবার সকাল ৮ টা বেজে গেলেও দোকান বন্ধ থাকায় মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার বাসায় গিয়ে মূল গেট ও শয়ন কক্ষের দরজা খোলা দেখে ভিতরে প্রবেশ করলে হাত, পা, মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় বিছানায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেই। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্বাস ও ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হারেচ আলী মিঞাকে অবহিত করেন। পরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের গহনার অর্ডার ছিল তার কাছে। যা তার বাড়িতে ছিল। দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর চাবি নিয়ে আলমারি খুলে প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বেশ কিছু নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে।

হত্যার বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হারেচ আলী মিঞা বলেন, সুদেব ওই বাসাটিতে একাই অবস্থান করছিলেন। রাতের কোন এক সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে। ভুঞাপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেছে। এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্ততি চলছে।

(এমএনইউ/জেএ/অক্টোবর ০৪, ২০১৪)