স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুঁশিয়ারি করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ছেলেকে সামাল দিন। তার স্পর্ধা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অর্বাচিনের মত কথা বলে যাচ্ছে। এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) চলমান রাজনীতি বিষয়ে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যেকোনো লোকের রাজনৈতিক দল থাকতে পারে এবং কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোন দেশে কোন ধরনের বিতর্ক নেই। কেউ তাকে নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয় না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, যেমন চীনের মাও সেতুং, ভারতের মহাত্মা গান্ধী, রাশিয়ার লেনিনকে নিয়ে কেউ কোন কথা বলে না। অথচ তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন। সুরঞ্জিত আরো বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি একে অপরের বিরোধী হতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কোন বিরোধী থাকবে না। তিনি সকলের।

সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মুখ থেকে বেফাঁস কথা ঠেকাতে তাদের নির্দিষ্ট আচরণবিধির আওতায় আনার সুপারিশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের রাজনীতিতে বেয়াদবি ও উদ্ধত ব্যবহার পরিহার করতে হবে। লতিফ সিদ্দিকী সম্প্রতি হজ ও তাবলীগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করে রাজনীতির মাঠ গরম করেছিলেন। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে, এমনকি দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে আর কোনো বক্তব্য থাকে না।

তিনি আরও বলেন, দেশ ও গণতন্ত্র যতদিন থাকবে ততদিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা কিছু বেফাঁস কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারকে আমি একটি আচরণবিধি করার পরামর্শ দিচ্ছি। তা না হলে মাঝে মাঝে এ ধরনের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ ও দলকে বিব্রত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে পারে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আদালতের বিচারকদেরও একটা আচরণ বিধি থাকে। তাই মন্ত্রীদেরও একটা আচরণবিধি থাকতে হবে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৪, ২০১৪)