মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার তেতৈইতলা গ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘের্ষ মনসুর আলী(৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি নিহত হয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালাতে গিয়ে তেতৈইতলা গ্রাম থেকে মনসুর আলীর লাশ উদ্ধার করে।

জানা যায়, নিহত মনসুর আলী গত উপজেলা নির্বাচনে হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দিন প্রধানের চাচা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার তেতৈতলা গ্রামে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জুয়েল প্রধান ও স্থানীয় যুবলীগের বোরহান ভূইয়া ও নুরে আলমের সমর্থিত দলীয় কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে ওঠে।

এ সময় দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলাকালে পুলিশ জুয়েল প্রধান গ্রুপকে ধাওয়া দিলে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। এ সুযোগে রোরহান ও নুরে আলম গ্রুপের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করলে মনসুর আলী প্রধান ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বলে জানিয়েছেন ভাতিজা সাইফুল প্রধান।এছাড়া সংঘর্ষে আরো ৮ জন আহত হযেছেন।

আহতদের মধ্যে আইভী আক্তার (৩৫), মো. সুমন (২৫), হোসনে আরা (৪৫), নাজমা বেগম (৩৩), মানিক মিয়া (২৫) ও রেজিয়া বেগমকে (৩০) ঢাকার বিভিন্ন প্রাইভেট কিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর মধ্যে হোসেনা আরা নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে হোসনে আরার মৃত্যুর খবর সঠিক কিনা তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় মনসুর আলী প্রধান নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের একাধিক টিম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের তেতৈইতলা গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।

গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে শনিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষে মনসুর আলী প্রধান নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৫, ২০১৪)