নিউজ ডেস্ক : কমবয়সীদের মধ্যেই এখন বিয়ের প্রবণতা বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প বয়সে বিয়ে করলে সংসারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকেই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পারেন না। তবে দেরিতে বিয়ে করলেই মানুষ বেশি সুখী হন, এমনটিই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা গবেষণা অনুসারে, দেরিতে বিয়ে করলে সুখী জীবন লাভ করা যায়। ৪০৫ জন কানাডিয়ানের উপর করা সমীক্ষায় দেখা যায়, যারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেষে কিংবা মধ্য জীবনের প্রথম দিকে বিয়ে করেছেন তাদের চেয়ে যারা আরও পরে বিয়ে করেছেন তারাই বেশি সুখী ও কম বিষণ্নতায় ভোগেন।

অ্যাডমন্টন ট্রানজিশনস স্টাডি থেকে এই ফলাফল পাওয়া যায়। কানাডিয়ান ১৮-৪৩ বছর বয়সীদের উপর দীর্ঘমেয়াদী এই সমীক্ষা সাতবার জরিপের মাধ্যমে করা হয়।

পারিবারিক বাস্তুসংস্থান গবেষক ম্যাট জনসনের মতে, ‘যারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করেন তারা ততটা পড়াশুনা করতে পারেন না। বিয়ের পরপরই বাচ্চা হয় ও সংসার চালাতে গিয়ে তারা এমন ক্যারিয়ারে আটকে যায় যা তারা আশা করেনি কখনো। মধ্যজীবনে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।’

‘অন্যদিকে যারা পরে বিয়ে করেছেন তারা আরও বেশি শিক্ষা ও উচ্চ বেতনের চাকরি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা ব্যক্তিগত জীবনে সুখ বয়ে আনতে পারে।

গবেষকরা বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের (স্নাতক) ডিগ্রি বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের বেশিরভাগই দেরিতে বিয়ে করেছেন।’

মনোবিজ্ঞানী মরগান পেকও দেরিতে বিয়ের পক্ষে জানান, একজন ব্যক্তি পরিপক্ক অবস্থায় বিয়ে করলে তিনি সঠিকভাবে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি সঙ্গীকে সময় দেওয়া থেকে শুরু করে দাম্পত্যে বোঝাপোড়াও ভালো থাকে।

যেসব দম্পতিরা দুজনই পরিপক্ক, তাদের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো থাকে। আর এ কারণে তাদের মধ্যে ভালোবাসা বেশি ও অশান্তি কম দেখা দেয়। ফলে দাম্পত্য জীবনে বেশ সুখী হন তারা।

তথ্যসূত্র : ইউনিভার্সিটি অব আলবার্ট/ব্রাইট সাইড

(ওএস/এএস/জুলাই ২২, ২০২২)