নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর নতুন হাট এলাকায় আশা ক্লিনিকে হিজড়া অপারেশনের চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে ১ দালাল ও ২ সেবিকা আটক হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্লিনিকে সিলগালা করা হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলা সদর নজিপুর নতুন হাট এলাকার আশা ক্লিনিকের সত্বাধিকারী ময়েন উদ্দীন একজন পল্লী চিকিৎসক। কিন্তু উক্ত ক্লিনিকে সে দীর্ঘ দিন যাবৎ সিজার ও নানা ছোট বড় অবৈধ অপারেশনসহ হিজড়া অপারেশন করে আসছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দালালের মাধ্যমে হিজড়াদের ময়েন উদ্দীন উক্ত ক্লিনিকে নিয়ে এসে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে মেয়ে যৌনাঙ্গে রুপান্তরিত করে দিত। এতে ময়েন উদ্দীন ডাক্তার হিসাবে খরচ বাবদ ১৫/২০ হাজার ও দালালরা ৩/৫ হাজার টাকা করে নিত বলে আটক দালাল ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরমসলন্দ গ্রামের ডা.আব্দুল কাদেরের পুত্র শরিফুল মিয়া (২৮) জানায়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পত্মীতলা থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মো. রফিক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে আশা ক্লিনিক থেকে দালাল শফিকুলসহ উক্ত ক্লিনিকের ২ সেবিকা পত্মীতলা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী ময়না খাতুন (৩৫) ও কুতুরা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শাবানা খাতুন (৩৫) কে আটক করে। এসময় অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে পত্মীতলা থানার এসআই হাবিব ও এএসআই মোস্তাফিজ জানান উক্ত বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, পত্মীতলায় অবৈধ ক্লিনিক বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে। উক্ত আশা ক্লিনিকে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ অপারেশনসহ জাল টাকার ব্যবসাও চলতো। সম্প্রতি উক্ত ক্লিনিকে জাল টাকার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালালেও অপরাধীরা পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। এছাড়াও উক্ত ক্লিনিকের ডাক্তার ময়েন উদ্দীনসহ তার সহযোগীরা কোন কোন সময় বোরখা পরে গাইনি ডাক্তার সেজেও রোগীদের সঙ্গে প্রতারনা করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মো. রফিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আশা ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় পুলিশ একজন দালালসহ দ’ুজন সেবিকাকেও আটক করেছে। অবৈধ কাজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উক্ত ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধের জন্য সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।

(বিএম/এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)