মাদারীপুর প্রতিনিধি : শনিবার সকালে ঢাকা-বরিশাল মহা-সড়কের মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সন্নাসীরচর চৌরাস্তা একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী কলেজের ৩ কলেজ শিক্ষার্থসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন।

এ দূর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুইজন গুরুতর আহত রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার শুনার পরপর কলেজের ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরি কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি মহাসড়ক অবরোধ করে অন্তত ১০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে। মহাসড়কে সহস্রাধিক যানবাহন আটকে অন্তত ৩০ হাজার ঘরমুখো যাত্রী আটকে পড়ে। এসময় মহাসড়কে প্রায় তিন ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখে এলাকাবাসী। আহতকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হুসাইন এবং এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে দত্তপাড়া ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের তিন শিক্ষার্থী এমরান হোসেন, রেহানা আক্তার ও হালিমা আক্তার শিবচর উপজেলার বন্দর খোলা নামক স্থানে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ছিল। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা তিন শিক্ষার্থীর একটু পাশেই সন্নাসির চর গ্রামের আর্যবান (২৫), নয় মাসের শিশু শাকিলকে নিয়ে তার মা শিল্পী বেগম কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় ভাঙ্গা থেকে আসা সার্বিক পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে নিহত হন। দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়ার এক কলেজ ছাত্রী হালিমা আক্তার আরও দুই পথচারী আর্র্যবান বেগম তাকেও মুমূর্ষু অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহতরা তিন শিক্ষার্থী হলো পূর্ব সন্নাসির চর গ্রামের ইসলাম হাওলাদারের ছেলে এমরান হোসেন, সন্নাসিরচর গ্রামের পূর্ব মৃধা কান্দি গ্রামের মুসা খানের মেয়ে কলেজ ছাত্রী রেহানা আক্তার ও সন্নাসির চর গ্রামের মজিদ শেখের মেয়ে হালিমা আক্তার, সন্নাসির চর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে শাকিল, একই গ্রামের পূর্ব সন্নাসির গ্রামের দুলাল মিস্ত্রির স্ত্রী আর্যবান বেগম। নিহত ও আহতরা সকলেই শিবচর উপজেলার সন্নাসির চর গ্রামের বাসিন্দা। এ দূর্ঘটনার পর সন্নাসিরচর গ্রামের এখন শোকের মাতম।

মহাসড়কে সহস্রাধিক যানবাহন আটকে অন্তত ৩০ হাজার ঘরমুখো যাত্রী আটকে পড়েছে। প্রায় তিন ঘন্টা ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের হাজার মানুষ রাস্তার উপর অপেক্ষা করতে হয়েছে। নারী-শিশুসহ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম দূর্ভোগের শিকার হন। ঘটনার পর পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

(এএস/জেএ/অক্টোবর ০৫, ২০১৪)