কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : রাত পোহালেই কাল ঈদ। তাই শেষ মুহুর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার পশুহাট। ক্রেতা আর বিক্রেতাদের দরকষাকষিতে প্রাণ ফিরে পায় হাট।

দাম ভাল পাওয়ায় শেষ মুহুর্তের বাজারে বিক্রেতারা সন্তুষ্ট থাকলেও খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেনি ক্রেতারা। গরুর অস্বাভাবিক দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তবে দেশী গরুর চাহিদা ভাল হলেও বিদেশী গরুর প্রতি ক্রেতাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। জমজমাট হাটে যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা আর গরুর চাপে পা ফেলানোর জায়গা নেই সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিক্ষুব্ধতার ছাপ।

স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগের তরফ থেকে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম স্থাপনের কথা থাকলেও চোখে পড়েনি তাদের কাউকে। একই সাথে চোখে পড়েনি জাল টাকা সনাক্তকরণ কোন যন্ত্র আর ব্যাংকিং সুবিধা। তবে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। ব্যবসায়ীরা যাতে করে আর্থিক লেনদেন নির্বিঘ্নে করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হাটের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করতে হাজির হয়েছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। হাটে যাতে করে ক্রেতা-বিক্রেতারা নির্বিঘ্নে বেচাকেনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন জানান, কুষ্টিয়াসহ এতদ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট সদর উপজেলার বালিয়াপাড়া। এই হাটের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। যে কারনে শুধু কোরবানীই নয়, সব সময় ক্রেতা বিক্রেতা এই হাটে কেনাবেচা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই আমরা শুধু ঈদই নয়, সব সময়ই হাটের প্রতি সতর্ক। বিশেষ করে কোরবানী উপলক্ষে আরো বেশি সতর্ক। তবে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এদিকে গরু হাট কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে হওয়ায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রশাসন যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।

(কেএইচ/জেএ/অক্টোবর ০৫, ২০১৪)