নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অভিভাবকবৃন্দ। উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের ৬৫নং রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ও বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অভিভাবকবৃন্দ।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৬৫ নং রামরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ, বিদ্যালয়ের জমি দাতা বর্তমান সভাপতি’র পিতাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পরামর্শ ও মতামত না নিয়ে বিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে যেনতেন ভাবে কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা খরচের হিসাব দিয়ে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের পানির ট্যাঙ্কি এবং পানির পাম্প বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ায় এবং সরকারি বিভিন্ন কাজ কর্মের অযুহাত দেখিয়ে অফিস ফাঁকি দেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় তার কোন চিন্তা-ভাবনা নেই, সব সময় থাকেন উদাসীন। উপরোন্ত বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন অনিয়ন ও দুর্নীতির সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৯ অক্টোরব ২০২২ তারিখে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে সব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ছয় মাস রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে নতুন কমিটির গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক গত ২২ জুন তারিখ থেকে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়নি। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার পর বর্তমান সভাপতি বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবকদের ভুল বুঝিয়ে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হবে মর্মে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সেটি আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.গোলাম রব্বানী বলেন,বিদ্যালয়ে ফাকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী মন্ডল বলেন, ‘ আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

(বিএস/এসপি/জুলাই ২৭, ২০২২)