ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : পরিকল্পিতভাবে গাভী পালন একটা লাভজনক ব‍্যবসা। অল্প মাঝারি বেশি সব ধরনের পুঁজি দিয়ে সুষ্ঠুভাবে গাভী পালন করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়।

গাভী পালনের জন্য ঘরটি মোটামুটি খোলামেলা জায়গায় হতে হবে; বাঁশ, ছন,খড়, পাটখড়ি দিয়ে ঘর নির্মাণ; ঘরের মেঝে ঢালু ও ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অথবা দুই লাখ টাকা দিয়ে উন্নত জাতের গাভী বাছুরসহ ক্রয় করলে নিম্নে ১৪ থেকে ১৬ লিটার দুধ পাওয়া সম্ভব। ৫০ টাকা লিটার হলে ১৪ লিটার দুধের দাম দাড়ায় ৭০০শ টাকা। একটি গাভী সারাদিন তিনশ টাকার বেশি খাবার খেতে পারবে না। এছাড়া গ্রাম-গঞ্জের সকলের কম বেশি জমি রয়েছে। যদি ৫ শতাংশ জমিতে বিদেশী ঘাস লাগানো যায় খরচ আরো কমিয়ে আসবে। এভাবে দুটি গাভী লালন-পালন করা যায় মাসের শেষে দেখাযাবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম হয়েছে। বছর শেষে দুটি বাছুর বিক্রি করা যাবে নিম্নে দুই লাখ টাকা। আর যদি বাছুর বিক্রি না করে খামার বৃদ্ধি করতে চান পরের বছর বাছুর দুটিও মায়েদের মত গাব হবে। তখন পরবর্তী বছর দেখা যাবে ৪ টি গরুই দুধ এবং বাছুর দিচ্ছে।

তাই চাকুরীর পিছনে না ছুটে ছোট পরিসরে দুই-চার লাখ টাকা দিয়ে নিজেই শুরু করুণ গাভী পালন। কারও মূখাপেক্ষী হতে হবে না। অল্প সময়ে নিজেই হয়ে উঠবেন একজন সফল উদ‍্যাক্তা।

তখন চাকুরী দিতে পারবেন গ্রাম বা আশেপাশের দুই চারজনকে। পলাশবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের হরিণমাড়ী গ্রামে প্রতিটি বাড়ীতে ছোট পরিসরে গড়ে উঠেছে এরকম অসংখ্য খামার। ব‍্যবসায় বার বার মার খাওয়ায় তারা ব‍্যবসা বাদ দিয়ে বতর্মানে গাভী পালন করে বাছুর এবং দুধ বিক্রি করে দিব‍্যিই সংসার চালাচ্ছেন। তাদের আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হচ্ছে না।

(এসআইআর/এএস/জুলাই ৩০, ২০২২)