দিনাজপুর প্রতিনিধি : সাত দিনেও বিরল পৌরসভার কর্তৃপক্ষ হাট ইজরার ৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার জালিয়াতির হোতা আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের চাপের কাছে নতি শিকার করে পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব রয়েছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার ৫ লাখ টাকায় একটি হাটের ইজারা গ্রহনের সময় বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মানিক পৌর কর্তৃপক্ষকে রূপালী ব্যাংকের একটি ২ লাখ ও অপরটি ৩ লাখ টাকার চেক (বিডি) প্রদান করেন। ২১ এপ্রিল সোমবার ওই চেকের টাকা পৌর কর্তৃপক্ষ উত্তোলন করতে গেলে তাতে জালিয়াতি ধরা পড়ে যে, ২’শ টাকার চেকটি ২ লাখ এবং ৩’শ টাকার অপর চেকটি ৩ লাখ করে হাটের ইজারা গ্রহনের সময় পৌর কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন মানিক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর বিরল পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল খায়রুমকে অবহিত করেন।

বিরল পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল খায়রুম রোববার দুপুরে জানান, ব্যাংকের দেয়া রিপোর্ট ও বিডি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৭ দিনেও কেন মামলা হয়নি এই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি নিশ্চুপ থাকেন। ব্যাংকের দেয়া অভিযোগে চেক জালিয়াতির উল্লেখ থাকা সত্বেও ইজারার আদেশ কেন বাতিল করা হয়নি সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ জালিয়াতির সাথে জড়িত মোশাররফ হোসেন মানিকের বিরুদ্ধে কোন আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকায় ১ বছরের জন্য বিরল বাজারের ইজারা নেন মানিক ও তার বড় ভাই মোকাররম হোসেন পান্না। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রূপালী ব্যাংকের বিরল শাখায় ২টি পে-অর্ডার জাল করার প্রমাণ পাওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শাহ সুফিয়ান ঘটনাটি পৌর প্রশাসন ও ইউএনওকে অবহিত করেন। পেঅর্ডার দুটি ফেরৎ দিয়ে তিনি বলেন, বিরলের সোনালী ব্যাংক শাখার জালিয়াতির কারণে রূপালী ব্যাংকে পেঅর্ডার দুটি ফেরৎ দেন। যার স্মারক নম্বর দিন/বিরল/বিলস/৩৯।

(এটি/এটি/এপ্রিল ২৭, ২০১৪)