আবীর আহাদ


শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির পিতা। স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশের স্থপতি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা-রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ। কবির ভাষায় : বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা রূপের যে তার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বাঙালি ও বিশ্বকে যাঁর তেজদৃপ্ত কন্ঠস্বর কাঁপিয়ে দিয়েছিল, যার আহ্বান ও নির্দেশে প্রায় দেড় লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার বীরত্ব ও ত্রিশলক্ষ বাঙালির আত্মদানে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ সেই দেশের প্রতিষ্ঠাতা-জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

উনিশশো আটচল্লিশ থেকে উনিশশো একাত্তর সালের ষোল ডিসেম্বর। মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মহাবিজয়। এর মাঝখানে প্রাণের ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার দাবি, শিক্ষা-সাংস্কৃতিক অধিকারের দাবি, স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান, সত্তর সালের ঐতিহাসিক নির্বাচন, একাত্তরের মার্চের ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলন, সাত মার্চের 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' বিষয়ভিত্তিক বিশ্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ভাষণ; ছাব্বিশ মার্চের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা এবং অত:পর মুজিবনগর বিপ্লবী সরকারের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমাণ্ড গঠন। বাংলাদেশ-ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়ন মৈত্রী। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত। বিপক্ষে পাক-মার্কিন-চীন-সৌদি তথা সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী শক্তির অবস্থান। এভাবেই একাত্তরের ষোল ডিসেম্বর বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে আমরা স্বাধীন হলাম। আর এসবকিছুর নেতৃত্বে যে শুদ্ধ নামটি জড়িয়ে আছে, সেই মহানাম শেখ মুজিবুর রহমান । বলতে দ্বিধা নেই, শেখ মুজিবকে কেন্দ্র করে বিশ্বসমাজ যুধ্যমান দু'শিবিরে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধের মাঠেই সমাধান রচিত হয় । আমরা বাঙালিরা বিজয়ী হলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হলো।

এই বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন বাঙালি জাতিরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তার জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সেই উনিশশো আটচল্লিশ থেকে একাত্তর। এই তেইশ বছরের ইতিহাসের প্রায় চোদ্দটি বছর পাকিস্তানের কারান্তরালে থাকতে হয়েছে। দু'দু'বার ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতে হয়েছে। শেষবার ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি দৃপ্তকন্ঠে উচ্চারণ করেছেন : আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ জয় বাংলা!

উনিশশো বাহাত্তর সালের দশই জানুয়ারি। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তিলাভ করেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের হাল ধরলেন। উনিশশো পঁচাত্তরের চোদ্দ আগস্ট পর্যন্ত তিনি সদ্যস্বাধীন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে-থাকা দেশ পরিচালনা করেছেন। পনেরো আগস্ট ভোর বেলা তিনি পরিবার-পরিজনসহ নির্মমভাবে নিহত হলেন। আর এ-নিহত হওয়ার পশ্চাতে কারা কীভাবে চক্রান্তের জাল বিছিয়ে ছিলো সে-বিষয়ে এখন আলোচনা করবো। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, বই-পুস্তক, নিজের অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন জনের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসবের ওপর ভিত্তি করে এ-আলোচনার অবতারণা করছি।

ইতোপূর্বে রচিত আমার গ্রন্থসমূহের পাঠকসমাজ নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আমি যা-কিছু লিখি তা স্পষ্টাকারেই লিখি। এ ধারাবাহিক লেখাটি পড়েও তাদের হতাশ হতে হবে না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা । একাত্তরের রণাঙ্গনে দু'বার করুণ মৃত্যুর কবল থেকে ফিরে এসেছি। আজ অবধি বেঁচেও আছি, যে-বাঁচাকে তো আশ্চর্য্যজনক বেঁচে-থাকা বলাই শ্রেয়। সুতরাং যতোদিন বেঁচে থাকবো, সত্যের সাধনায়, মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল্যবোধে উজ্জীবিত থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আমার লেখনী চালিয়ে যেতে চাই । এ-ক্ষেত্রে সুধি পাঠকসমাজের উৎসাহ আমাকে প্রেরণা যোগাবে। জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু : আবীর আহাদ, ২৮ জুলাই ২০২১, মিরপুর ঢাকা।

এক

স্বাধীন বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু : দেশী-বিদেশী স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র

'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' এই ঐতিহাসিক বজ্রঘোষণার মহানায়ক, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উনিশশো বাহাত্তর সালের দশই জানুয়ারি পাকিস্তানের জিন্দানখানা থেকে মুক্তিলাভ করে বিজয়ী বীরের বেশে তাঁর আজীবন সাধনার স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন উনিশশো একাত্তরের পঁচিশ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিবাহিনীর মহাবিভীষিকাময় রক্তাক্ত গণহত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ঐ রাত ছাব্বিশ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন । রেডিও ও ওয়ারলেসে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ইথারে ইথারে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের সর্বত্র ছাত্র শ্রমিক কৃষক যুবক আনসার পুলিশ ইপিআর ও বেঙ্গল রেজিমেন্ট সৈনিক-মুক্তিযোদ্ধারা যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে পাকিহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবলবিক্রমে স্বাধীনতা রক্ষার মহাসমরের ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ঢাকাস্থ পাকিবাহিনীর রেডিও ও ওয়ারলেসেও ধরা পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর পূর্বনির্দেশ মোতাবেক সত্তরের নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি ও উদ্দীপ্ত যুবকরা পাকিস্তানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও সংঘটিত করার জন্য প্রতিবেশী ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিতে থাকেন। মানবতার খাতিরে ভারত তাদের সীমান্ত খুলে দেয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে দেয়। পুরো ন'মাসব্যাপী পাকিবাহিনীর মহাবিভীষিকাময় গণহত্যায় ত্রিশলক্ষ মানুষ প্রাণ বিসর্জন দেয় এবং এক কোটি পনেরো লক্ষ মানুষ প্রাণরক্ষার জন্য ভারতের মাটিতে আশ্রয় গ্রহণ করে।

উনিশশো একাত্তরের দশ এপ্রিল ভারতের আগরতলায় গণপরিষদের সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে তাঁর অনুপস্থিততে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সতেরো এপ্রিল খোন্দকার মোশতাক, এএইচএম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে মন্ত্রিসভার সদস্য ও কর্নেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি করে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার সুবিশাল আম্রকাননকে 'মুজিবনগর' ঘোষণা করে দু'শতাধিক দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাকামী মানুষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপ্লবী সরকার আত্মপ্রকাশ করে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তানের অখণ্ডতাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্ব দু'টি যুধ্যমান শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন দান করে ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ ও বিশ্বজনমত। অপরদিকে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গণচীন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র ও পুঁজিবাদী বিশ্ব। অবশেষে দীর্ঘ ন'মাসব্যাপী সর্বাত্মক যুদ্ধে মুজিবনগরে বিপ্লবী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথকমাণ্ডের কাছে পাকিবাহিনী উনিশশো একাত্তরের ষোলো ডিসেম্বর নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করে। ত্রিশ লক্ষ বাঙালি ও প্রায় বিশেষ হাজার ভারতীয়র জীবনদানের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মুজিবনগর সরকার তথা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু তখনো পাকিস্তানের হাতে বন্দী।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রণহুঙ্কার, ভারত-সোভিয়েত ও বিশ্বজনমতের প্রচণ্ড চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পাকিস্তান সরকার বাহাত্তর সালের আট জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিয়ে লণ্ডন পাঠিয়ে দেয়। লণ্ডন থেকে দিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দশ জানুয়ারি তাঁর চির ভালোবাসার ধন স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ করে।

এক্ষণে আমরা ইতিহাসের একটু পেছন পর্যালোচনা করে আসি। উনিশশ সাতচল্লিশ সালে পাকিস্তান কাঠামোর মধ্যে এদেশটি বৃটিশের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করলেও সুদীর্ঘ তেইশ বছরের পাকিস্তানি শাসনে মূলত: এ-ভূখণ্ড পশ্চিম পাকিস্তানের একটি উপনিবেশে পরিণত হয়। পাকিস্তানি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও বল্গাহীন শোষণে নিষ্পেষিত বাঙালি জাতি তাই নতুন কর প্রকৃত স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে থাকেন। আর এ-জাতির স্বপ্নের স্বাপ্নিক প্রতিবিম্ব হিশেবে আবির্ভূত হন শেখ মুজিবুর রহমান নামের অমিততেজ এক উদীয়মান সূর্য যিনি ছিলেন উপমহাদেশের সবচে' মেধাবী ও যুক্তিবাদী রাজনীতিক, প্রখ্যাত আইনজীবী, অবিভক্ত বাংলা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নিজহাতে-গড়া ও তাঁরই গুণমুগ্ধ ভাবশিষ্য।

পাকিস্তানের শাসক ও শোষকগোষ্ঠী পূর্ববাংলাকে চির পদানত করার লক্ষ্যে প্রথমেই আঘাত হানে বাংলা ভাষার ওপর। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানি উর্দু ভাষার মধ্যে বিলীন করে এদেশের মাটি ও মানুষকে তাদের শাসন ও শোষণের লীলাক্ষেত্রে পরিণত করার চক্রান্তের বীজ বপন করা হয় পাকিস্তান সৃষ্টির সাথে সাথেই। উনিশশো আটচল্লিশ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় এসে সদম্ভে ঘোষণা করেন : Urdu & only Urdu shall be the state language of Pakistani ! প্রবল প্রতাপশালী জিন্নাহ সাহেবের মুখের ওপর ঢাকার ছাত্রসমাজ No no বলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানায় । আর এ-প্রতিবাদ প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রতীক হিশেবে বেরিয়ে আসেন তরুণ শেখ মুজিব । মুজিব সেসময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ'র আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন । সেই থেকে শুরু । আটচল্লিশ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবির আন্দোলনে নেতৃত্বপ্রদানের অপরাধে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয় । এভাবে তার লেখাপড়ারও অবসান ঘটে । উনিশশো উনপঞ্চাশ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দেশে, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে মাওলানা ভাসানীকে সভাপতি করে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ । শেখ মুজিব এদলের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন । বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের তিনি অন্যতম প্রধান প্রবক্তা হিশেবে আবির্ভূত হন । পরবর্তীকালে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অত:পর তিনি নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হন । (চলবে)

লেখক :বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বহু গ্রন্থের লেখক, চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।