একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে পৌর শহরের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। স্কুল কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সহ ব্যাপক দুর্ভোগে পথচারিরা। সংস্কারের উদ্যোগ নেই পৌরকর্তৃপক্ষের।

পাংশা পৌর শহরের শিল্পকলা মোড় থেকে পাংশা পৌর কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চারশত মিটার সড়ক খানাখন্দে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও কবরস্থান মোড় সংলগ্নে পানি নিস্কাশরে জন্য সড়কটির নিচ দিয়ে নির্মিত একটি ড্রেন ভেঙে পরেছে। সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী। পাশেই অবস্থিত পাংশা মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও পাংশা সরকারি কলেজ। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর চলাচল। এছাড়াও মুমূষ রোগীকে অতিগ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সম্প্রতি খানাখন্দে পরিনত এবং পানি নিস্কাশনের ড্রেনটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ বেরেই চলছে শিক্ষার্থী ও পথচারিদের।

পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, সড়কটি খানা-খন্দে ভরে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দ গর্তে পানি বেধে থাকে। ফলে সড়কে অনেক কাদা হয়ে যায়। পায়ে হেটে চলার মত উপায় থাকে না। প্রতিনিয়তই আমাদের চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সড়কে চলাচলকৃত ইজিবাইক চালক রইচ উদ্দিন বলেন, পানির ড্রেনটি অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ধিরে ধিরে ভাঙার অংশ বাড়ছে। অনেক সময় আমাদের খেয়াল থাকে না। সম্প্রতি এই জায়গাটি মৃত্যু ফাদে পরিনত হয়েছে।

সড়কের পাশের বিল্পব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বৃষ্টি হলে গর্তে পানি বেধে থাকে। একটু গতিতে গাড়ি চালালে দোকানের মধ্যে কাদা পানি ছিটে আসে।

উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, একাডেমীতে সপ্তাহে দুই দিন ক্লাস নেওয়া হয়। সড়কটির কারণে অনেক প্রশিক্ষনার্থী আসতে চায় না। আমি মেয়র মহদয়কে অনেকবার বলেছি তিনি কোন উদ্যোগ নেয়নি।

পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী মন্ডল বলেন, পৌর শহরের মধ্যে অনেক রাস্তারই নাজুক অবস্থা। পৌরসভার যে বাজেট, আমরা বছরে ৬০ লাখ টাকা পাই। এই টাকায় কোন টেন্ডারই করা যায় না। ১৮ মাস হলো আমি পৌর মেয়রের দায়ীক্ত পেয়েছি। রাস্তাটি একটি প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। তিনি আরোও বলেন, পৌরসভার যে সকল রাস্তাগুলো খারাপ অবস্থায় আছে এই অর্থ বছরের মধ্যে সংস্কার করার চেষ্টা করবেন।

(একে/এসপি/আগস্ট ০১, ২০২২)