স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার একটি মামলায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেন অভিযুক্ত এক তরুণ (২১)। সেই অনুযায়ী জেলও খাটছেন তিনি। বিচারিক আদালতে চলছে মামলা। সেখানে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ। সেখানে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় জামিনের জন্য ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে প্রয়োজনে বিয়ে করবেন তিনি।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারিসহ আদেশ দেন।

তারই আলাকে ওই তরুণের তদবিরকারকরা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের শর্তে ওই তরুণের জামিন নিতেও রাজি হন। কিন্তু এরপর আবার বেঁকে বসেন ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ। তরুণীর গর্ভের সন্তানকে তিনি নিজের বলে মেনে নিতে রাজি হননি। আর বিয়েও হয়নি তাদের। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরী এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।

কিন্তু সন্তানের পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণের আবেদনের প্রেক্ষিতে করা হয় ডিএনএ টেস্ট।

ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিয়েছে সিআইডি। সেখানে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে ধর্ষণের দায় স্বীকারকারী ওই তরুণ ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পুত্রসন্তানের জৈবিক পিতা নন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই শিশুর জৈবিক পিতা কে?

গত ২৬ জুলাই হাইকোর্টে ডিএনএ টেস্টের ফলাফল তুলে ধরে ওই তরুণের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট শিশুর পিতৃপরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে (মৌখিক) নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০৪, ২০২২)