আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন আর হামলা-সহিংসতায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে সেখানে দুই পক্ষের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। উভয়পক্ষই একে ওপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

আজারবাইজানের অভিযোগ, আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতবাদী কারাবাখ যোদ্ধারা ওই অঞ্চলে আজারি সেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে এক সেনার মৃত্যু হয়। তারপরেই আজারবাইজান বাধ্য হয়ে ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এতে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করেনি আজারি কর্তৃপক্ষ।

বিপরীতে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, বিতর্কিত এলাকায় আজারবাইজানই প্রথম অভিযান চালিয়েছে। রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর টহলদারী এলাকায় আজারবাইজানের সেনারা ঢুকে পড়লে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটির বক্তব্য, আজারবাইজানের আক্রমণে তাদের দুই যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।

এ অবস্থায় বাকুর দাবি, নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াকে সব সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু আর্মেনিয়া তাতে রাজি নয়। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, নাগারনো-কারাবাখের উত্তেজনা এখনই প্রশমন করতে হবে। এ বিষয়ে দুই দেশকেই সতর্ক করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রও উত্তেজনা না বাড়াতে উভয়পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার জন্য আজারবাইজানকে দায়ী করেছে রাশিয়া। আজারিদের প্রতিপক্ষ আর্মেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে রুশদের।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালে যুদ্ধের পর থেকে সেটি জাতিগত আর্মেনীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২০ সালের যুদ্ধে অঞ্চলটি ফের দখলে নেয় আজারি সৈন্যরা। ছয় সপ্তাহের ওই যুদ্ধে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক নাগোরনো-কারাবাখে রাশিয়ার দুই হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে।

তথ্যসূত্র : ডয়েচে ভেলে, আল জাজিরা

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০২২)