স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা নিতে পারে নেপাল। দেশটির সফররত প্রতিনিধি দলকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

শুক্রবার (৫ আগস্ট) নেপালের সফররত সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন ড. পবিত্র নিরুওলা খারেল ।

অন্যান্যের মধ্যে দেশটির সংসদ সদস্য ড. চাঁদতারা কুমারী, ড. দীপক প্রকাশ ভট্ট, দেব প্রসাদ তিমলসেনা, লীলা দেবী সিতৌলা, নারদ মুনি রানা এবং সরলা কুমারী যাদব সাক্ষাতে অংশ নেন।

কুশল বিনিময়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।

শুরুতেই নেপালের প্রতিনিধি দল দুই দেশের বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, কানেক্টিভিটি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মতো খাতে তাদের সহযোগিতা আরও সুসংহত করতে জোর দেন। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর জোর দেন।

তারা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেন, যা তারা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে তার সরকার নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।

তিনি বলেন, নেপাল আমাদের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে। বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলো ব্যবহার করতে পারবে।

প্রতিনিধি দলটি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বাংলাদেশ সংসদ পরিদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন। আজ প্রতিনিধি দলটি পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০২২)