একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে অন্য সব বছরের তুলনায় এবার সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেওয়া নিয়ে হতাশায় কৃষকেরা।

বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় পানির অভাব হলেও চাষিরা পাট কেটে তা নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দিয়ে রেখেছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহনে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।

কেউ কেউ আঁশ ছাড়ানো, সেটা রোদে শুকিয়ে হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকেরা খুশি হয়েছে। কৃষকের মুখে এখন হাঁসির ঝিলিক।

জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য তিন হাজার টাকা মণ ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ২৮‘শ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে পাট চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার মরাবিলা গ্রামের কৃষক মোঃ আজিজল শেখ বলেন, ৯ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম পাটও ভালো হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না।

কালুখালী উপজেলার ভান্ডারকুলা গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুস ছামাদ জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ও ভালো হয়েছে। এবার আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আগামি বছর আরো বেশি জমিতে পাট চাষ করবো বলে মনেকরছি।

এ ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম শহীদ নূর আকবর বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলনও হয়েছে বাম্পার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম ও অনেক বেশি। পাটের নায্য মূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে তিনি মনেকরেন।

(একেএমজি/এএস/আগস্ট ০৫, ২০২২)