ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীর পেট্রোল পাম্প গুলোতে ক্রেতাদের ভীড়।  অনেক পাম্পে শুক্রবার রাত থেকেই তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির খবরে নীলফামারীর পাম্প গুলোতে এই অবস্থা বিরাজ করছে। আর যে পাম্প গুলো তেল দিয়েছে সে পাম্প গুলেতে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভীড়। হঠা ত করে ক্রেতাদের এমন উপস্থিতিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পাম্প কর্তৃপক্ষকে, অনেক ক্ষেত্র বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিও হয়েছে। 

রাত বারোটার পর থেকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হওয়ার আগে ভাগে তাড়াহুড়ো করে ক্রেতারা পাম্প গুলোতে ভীড় করেছে।

ক্রেতারা রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে পাম্প গুলোতে গিয়ে তেল সংগ্রহ করতে উপস্থিত হয়। এই সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হলে পাম্প কর্তৃপক্ষ তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে ক্রেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন, ও অকটেনের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

দাম বেড়েছে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা।দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকায় কিনতে হবে।

আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।

শুক্রবার রাত ১২টার পর এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে এ খুচরা মূল্য বহাল থাকবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং আমদানি করা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল শহরের পাঁচ মাথা মোড়ের ভাই ভাই ফিলিং ষ্টেশনের মোস্তাকিম বলেন, আমাদের মজুদ শেষ হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার সরকার জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে মজুদ সংকট দেখা দিয়েছে।

(ওকে/এসপি/আগস্ট ০৬, ২০২২)