ভোলা প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলার চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম এ দণ্ডাদেশ দেন।

চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চরফ্যাশনের মেঘনার কেতুয়া পয়েন্ট থেকে আটজন, খেজুর গাছিয়া থেকে আটজন ও জাহানপুর থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় চারটি ট্রলার, চার হাজার মিটার জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।

সকালে আটক জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা কলে আদালত ১৭ জনের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। দুপুরে তিনি আরো জানান, বাকি চারজনকে জরিমানা করার প্রক্রিয়া চলছে।

তজুমদ্দিন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার জানান, মেঘনা থেকে এক জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাকেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
দৌলতখানে রাতভর অভিযানে ৩৫ কেজি ইলিশ ও সাত হাজার মিটার জাল জব্দ করেছে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, মা ইলিশ রক্ষার্থে ৫ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। এসময়টা ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রবিবার নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে ৪৬ জনকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে জব্দ করা হয়েছে ৯৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৮৫৮ কেজি ইলিশ ও ১৩টি ট্রলার। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮৯ হাজার পাঁচশ’ টাকা।

এসময়ের মধ্যে মাছ ধরা, জাল ফেলা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ। ইলিশ রক্ষায় নেওয়া এ পদক্ষেপ সফল করতে পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ টিম নদী ও সাগরে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করলেই শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ০৭, ২০১৪)