রিপন মারমা, রাঙামাটি : নিখোঁজের সাড়ে ৩ ঘন্টা পর কাপ্তাই হ্রদ থেকে রুবায়েত রশিদের নামে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, রাঙামাটি বেড়াতে এসে  কাপ্তাই হ্রদে গোসল করতে নেমে পর্যটক নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ যুবকের নাম রুবায়েত রশিদ (২৬)। তিনি চট্টগ্রামের কাট্টলী এলাকায় বাসিন্দা ও দুবাই প্রবাসী।

নিহত রুবায়েত রশিদদের সাথে রাঙামাটি বেড়াতে আশা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ১ টার দিকে আমরা পাঁচজন মিলে হ্রদের ভ্রমণের উদ্দেশ্য পর্যটন বোট ঘাট থেকে বোট নিয়ে বের হই। দারোগা পাহাড় নামক স্থানের পরিবেশটা ভালো লাগায় মুহুর্তে উপভোগ করার জন্য সেখানে কিছুক্ষণ বসে আমরা সময় কাটাই। পরে রুবায়েত গোসল করতে নামতে চাইলে আমাদের সঙ্গে বোট চালকও নিষেধ করে। আমাদের নিষেধ অমান্য করে সাঁতার কাটার এক পর্যায়ে হঠাৎ ডুবে যায়। পরে বোট নিয়ে আমারও খুঁজতে থাকি। পরে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারে কাজ করতে থাকে। এর পর সাড়ে তিন ঘন্টা অতিবাহিত পরে পর্যটক রুবায়েত রশিদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।এর পর শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় রুবায়েতের মরদেহ রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজের ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

নিহত রুবায়েত রশিদ চট্টগ্রামের কর্ণেল হাটের বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী হারুনুর রশিদ এর সন্তান বলে জানাগেছে। বন্ধুর পরিবারের সাথে চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

জানাগেছে, রুবায়েত রশিদরা মোট তিন ভাই। তার পিতা হারুনুর রশিদসহ সকলেই দুবাইয়ের প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ি। গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুবায়ের দেশে আসে এবং পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করেছিলো। আবারো তিনি দুবাইয়ে চলে যাবেন তাই রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ দেখতে বন্ধুর পরিবারের সাথে এখানে ঘুরতে এসেছিলেন।

এদিকে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি নুরুল ইসলাম গণমাধ্যম'কে জানিয়েছেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমাদের উদ্বর্তন ওয়্যার হাউস কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন ও সাব অফিসার ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে ছয়জনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাই। বেলা আড়াইটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে হ্রদের তলদেশ থেকে রুবায়েতের রশিদের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এব্যাপারে কোতোয়ালী থানা ওসি কে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

(আরএম/এএস/আগস্ট ০৭, ২০২২)