আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের খুচরা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা দরে।   

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর বর্ষা মৌসুমে কোন বর্ষা না হওয়ায় কাঁচা মরিচের ফলন কমেছে। পাশাপাশি প্রচন্ড রোদের তাপে অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতের গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা কাঁচা মরিচে চাহিদা পুরণ না হওয়ায় পাইকারীভাবে বাজারে মরিচ আমদানী করতে হয়। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে খুচরা ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম রাখা হচ্ছে ৭৫ টাকা। সে হিসাবে কেজি প্রতি দাম পরছে ৩শ টাকা। গত সপ্তাহে এই মরিচের দাম ছিল দেড়শ টাকা বা তার কিছু উপরে।

রাজিহার বাজারের খুচরা বিক্রেতা তুহিন হাওলাদারসহ বশ কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, আমরা ২শ ৫০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ কিনে ক্রেতাদের কাছে ৩শ টাকা দরে বিক্রি করছি। পাইকারী কিনলেও পচন ধরে বাদ হওয়া এবং খুচরা বিক্রিতে ঘাটতি হওয়ায় ৩শ টাকার কমে বিক্রি করা যায় না।

উপজেলা সদর বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ি সবুজ সরদার জানায়, প্রতিদিন নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। দু’দিন আগে কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২শ টাকা। আজ কিনতে হচ্ছে ৩শ টাকায়। তাও মান সম্মত নয়। আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কাঁচা মরিচসহ জিনিসপত্র কিনতে খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকা, অনাবৃষ্টি ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় সরবরাহ এবং চাহিদা অনুযায়ি মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। উৎপাদন হলে বাজারে তা সরবরাহ হরে দাম কমবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাজারের দাম ও পন্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২২)

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের খুচরা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা দরে।