নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের একটি আদিবাসী গ্রাম নাম শিয়ালডাংগা । ২০০১ সালে গ্রামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে এখানে শুধু আদিবাসীর বিভিন্ন গোত্রের নারী-পুরুষের বসবাস। বর্তমানে গ্রামটির ২৬টি বাড়িতে নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে সহ প্রায় দেড় শতাধীক লোকের বসবাস। কিন্তু বিগত ২২বছর গ্রামটিতে প্রবেশের কোন রাস্তা ছিলনা। গ্রামের সকলেই বিভিন্ন দিক দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করতো। এতে চিকিৎসা সহ তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখারও সমস্য হতো। বিগত বছরগুলিতে কোন জনপ্রতিনিধিও তাদের রাস্তাটির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি বলে তাদের বিস্তর অভিযোগ।

তবে যাই হোক এবারে গ্রামে প্রবেশের একটি রাস্তা পেয়ে তারা বেজায় খুশি। এজন্য তারা স্থানীয় এমপি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শিয়ালডাংগায় বসবাসকারী শ্রী রঞ্জন তিরকী, বিশ্বনাথ খালকো, ধীরেন টপ্য, শ্রীমতি মনিকা খালকো ও বিশদ মনি এক্কা জানান, ২২বছর পর রাস্তা পেয়ে তারা খুব খুশি। তারা নিজেরা গ্রামে সকলেই মিলে চেয়ারম্যানদের সহযোগীতায় রাস্তাটি তৈরী করেছেন। এতে কেউ তাদের বাঁধা দেইনি বলে তারা জানান।

তারা জানান, রাস্তা না থাকায় বিগত বছরগুলিতে তাদের গ্রামের নারী-পুরুষদের মধ্যে কেউ অসুস্থ্য হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারেননি হাসপাতালে। ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। বর্ষা আসলে চলাচলের খুব অসুবিধা হতো। এখন রাস্তাটি হওয়ায় তারা সবই করতে পারছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু চেয়ারম্যানদের সহযোগীতার জন্য। এদের মত লোককেই তারা ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধি দেখতে চান বলে জানান। তবে এতদিন পরে রাস্তা দিয়ে নিজ গ্রামে প্রবেশ করতে পাচ্ছেন বলে তারা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

(বিএস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২২)