রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ী উপজেলার করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বয়স জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (সাধারণ শাখা) সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি কর্তৃক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের করিয়াটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরী বয়স জালিয়াতি করে দীর্ঘদিন থেকে চাকুরী করে আসছে। এব্যাপারে শাহারুল ইসলাম কর্তৃক বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (সাধারণ শাখা) সহকারী কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি ২ আগস্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক মতামত সংবলিত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।

প্রকাশ থাকে যে, উক্ত প্রধান শিক্ষক জহরত আরা চৌধুরীর (ময়না) ১৯৭৯ সালে হাঁসবাড়ী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তার এসএসসি সনদ অনুযায়ী তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ২৪/০৭/১৯৬২ইং। সে অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। পরবর্তীতে তিনি ০১/০১/১৯৭৯ইং ভুয়া জন্ম তারিখ ব্যবহার করে বাহাদুরপুর ডি.আই.ইউ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা হতে দাখিল পাশ করেন।

এদিকে, প্রধান শিক্ষিকা জহরত আরা চৌধুরীর বড় ছেলে আবু আল মামুনের পরীক্ষার সনদ ও ভোটার তালিকা অনুযায়ী জন্ম সাল রয়েছে ১৯৮৪ সাল। এতে জহরত আরা’র জন্মসাল ১৯৭৯ হলে ছেলের বয়স হয় ৩৮ বছর ও মাতার বয়স ৪৩। বয়স জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগদান করায় এলাকার সচেতন মহলের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহারুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

(আর/এসপি/আগস্ট ০৮, ২০২২)