নিউজ ডেস্ক, ঢাকা : উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বেথুলিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে। এ সময় অন্তত ২০টি বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

আহতদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে মহম্মদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, সংঘর্ষের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোবাদ শেখ জানান, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও বিনোদপুরের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান সিকদার দুজনই বিনোদপুরের বাসিন্দা।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ত‍াদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবার দুপুরে বেথুরিয়া বাজারে মিজান সিকদারের সমর্থক খায়রুল শেখ ও আব্দুল মান্নানের সমর্থক শহিদুল ইসলামের মধ্যে কোরবানির গরুর ভাল-মন্দ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।

এর জের ধরে উভয় গ্রুপের সমর্থকেরা দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে নারী শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।

গুরুতর আহতদের মধ্যে জিয়াউর (৩৫), জামাল (৩০), পিকুল (২৫), মিন্টু (২৭), কামাল (২৫), তারাপদ (৪০), ময়েন উদ্দিন (৩৫), ইদ্রিস (৪০), আমির (৪২) ও কোবাদের (৩২) নাম জানা যায়।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও বিনোদপুরের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান সিকদার এ ঘটনায় পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(ওএস/পি/অক্টোবর ০৭, ২০১৪)