মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : দেশে লাফিয়ে উঠা কেরোসিন,অকটেন ও ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা এবং রাজধানী ঢাকায় দলীয় ছাত্রনেতাদের ওপর পুলিশি হামলা ও মামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট ) সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা চত্বরে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও শাহবাগে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল সংগঠন গুলোর চলমান সমাবেশে পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দীর সভাপতিত্বে ও ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য রেহনোমা রুবাইয়াৎ, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি সুমন কান্তি দাস, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ সংসদের সদস্য দ্বীপ্ত পাল প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রথম আলোর রিপোর্টে উঠে আসছে ১০ বছরে দেশ থেকে পাচার টাকার পরিমাণ সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা। গত কয়েক বছরে জ্বালানি তেল থেকে সরকারের প্রায় ৪৮ হাজার ১২২ কোটি টাকা মুনাফা হলেও কয়েক মাসে বিপিসির লোকসান মাত্র ৮ হাজার কোটি টাকা। তাহলে কি ভর্তুকি দেয়ার মত অর্থ ছিলো না? নাকি সবকিছু লুটপাট এবং পাচারে শেষ হয়ে গেছে? বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে তেলের অযৌক্তিক মূল বৃদ্ধি করা হলো। এই ঘৃণ্য সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকায় শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের চলমান সমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ হামলা করে ছাত্র নেতাদের আহত করলো আবার পরেদিন সেই ছাত্র নেতৃবৃন্দের নামে পুলিশের পক্ষ থেকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হলো।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটা পুলিশী রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। আর সরকারের নির্দেশে পুলিশ গুলি করে এখন মানুষকে হত্যা করছে। ছাত্র নেতাদের ওপর হামলাকারী পুলিশদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে ছাত্র সমাজের আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।

(একে/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০২২)