স্টাফ রিপোর্টার : জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের চেয়ে মহৎ কিছু হতে পারে না। রক্ত দাতারা জাতির আলোকিত মানুষ। এমন কিছু রোগ আছে বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অনেককেই মাসে দু’তিন বার রক্ত দিতে হয়। এক সময় পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত কিনতে হতো কিন্তু সে দৃশ্য এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমে রক্তের এই চাহিদা এখন অনেকটাই মিটানো সম্ভব হচ্ছে।

থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি এর বাহক নির্ণয় করা আবশ্যক। দুই জন থ্যালাসেমিয়ার বাহক যাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা পারিবারিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এসব কথা বলেছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, রক্তের সঙ্গে জীবন জড়িত। আর সেই জীবন হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের জীবন। মানুষ তার নিজের কর্মের জন্যই সম্মানিত হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতারাও তাদের কর্মের জন্যে সম্মানিত। তারা শুধু নিজের কাছে নয়, সমগ্র জাতির কাছে সম্মানিত।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ির অবজ্ঞাখ্যাত বাংলাদেশ আজ সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুদৃঢ় এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই বৈশ্বিক মন্দার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অগ্রগতির দিকে। তিনি বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আমদানি নির্ভর বিলাসি পণ্য ব্যবহারে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আমরা মোবাইলের মোট চাহিদার শতকরা ৯৬ ভাগ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি অথচ এক সময় এ দেশে কাপড় কাঁচার সাবানও আমদানি করতে হতো।’

অনুষ্ঠানে কমপক্ষে তিনবার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন- এমন প্রায় তিনশ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১০, ২০২২)